শিল্প ও সাহিত্য

অবিশ্বাস

ভালোবাসার আগে বিশ্বাস করা শেখো! কথাটা বলে রবিন ভাই কেমন যেন আনমনা হয়ে গেল। বেশ কিছুক্ষণ পর নিজ থেকেই বলা শুরু করল-

ভালোবাসতাম একটা মেয়েকে। আসলে ভালোবাসি এখনো। ভালোবাসা তো কোনো ব্যাকরণ মেনে চলে না যে এর অতীত কাল বলে কিছু থাকবে।

একসঙ্গে অসম্ভব সুন্দর সময় পার করেছি আমরা। ভোরে কুয়াশায় একসঙ্গে হাঁটা থেকে শুরু করে তুমুল বর্ষায় কদম হাতে ভেজা। জোছনার আলোয় মুখ দেখা থেকে শুরু করে ঘোর অমাবস্যায় আঁকড়ে ধরে থাকা। বিশ্বাস করতাম দুজনেই, আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন আমরাই। স্বপ্ন দেখতাম একে অপরকে ঘিরে। কী দারুণ সেসব স্বপ্ন।

তারপর বেশ কিছুদিন ধরে বেশ উল্টাপাল্টা কানে আসছিল ওকে নিয়ে। পাত্তা দেইনি। কিন্তু মন তো! একসময় বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম ওসব। দাঁড়িপাল্লায় অবিশ্বাসের পরিমাণ ভারী হতে শুরু হলো। এড়িয়ে যাওয়া শুরু করলাম। এভাবে দিনদিন দূরত্ব বাড়তেই থাকল। জানতে পারলাম, ও এসব অবিশ্বাস–সন্দেহের মধ্যে থাকতে পারবে না। নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছে। আসলে চেষ্টারও তো একটা সীমারেখা থাকে। অথচ বোকা আমি, তখনো জিদ ধরে বসে থাকলাম। বেমালুম ভুলে গেলাম, শিকড় ছাড়া গাছ বাঁচতে পারে না।

ওর কবরের পাশের কামিনী ফুল এখনো ফোটে নিয়ম করে। আচ্ছা, ও কি সেই সুবাস পায়?

Back to top button