নগর খবর ডেস্ক : গত বছর নয় দফা সময় বাড়িয়েও বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত হজের কোটা পূরণ করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাই এবার আগেভাগেই নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু নিবন্ধন কার্যক্রমের শুরুতেই হোঁচট খেল ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রথম দফায় এক মাসে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪ হাজার ৫৯৬ জন। যদিও আরও ছয়দিন বাকি রয়েছে। এদিকে, প্রথম দফায় কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে নিবন্ধনের সময়।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম। রোববার (১০ ডিসেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানা গেছে। এরপরও কোটা পূরণ না হলেও ফের বাড়তে পারে নিবন্ধনের সময়।
আগামী বছর (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে হজ করতে পারবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোটা রয়েছে ১০ হাজার ১৯৮টি। আর বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার। সেই লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য এক মাস সময় দিয়ে নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর থেকে। নিবন্ধনের সময় শেষ হতে আর মাত্র ছয় দিন বাকি। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৫৯৬ জন।
নিবন্ধনের সাড়া কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নিবন্ধন শুরু হলেও এবার শুরু হয়েছে নভেম্বর মাসে। এ কারণে হজে যেতে ইচ্ছুকদের ধারণা এ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে। এছাড়া দেশে এখন নির্বাচনের মৌসুম চলছে।
তিনি জানান, হজের নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে নতুন তারিখ দিয়ে নোটিশ জারি করা হবে।
হজ এজেন্সিগুলোর মালিকরা মনে করছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এর সঙ্গে টানা অবরোধ ও হরতাল। বেশিরভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা ভালো না। অন্যদিকে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়েছিল, নিবন্ধন চলে এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এবার সৌদি সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনায় হজ চুক্তির আগেই নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হচ্ছে। আগেভাগে নিবন্ধনের তথ্য অনেকে জানেনও না। তাই এবার নিবন্ধনে খুবই ধীরগতি।