আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ফের প্রস্তাব আমিরাতের

নগর খবর ডেস্ক : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পর বৈশ্বিক এই সংস্থার সবচেয়ে ক্ষমতাধর অংশ নিরাপত্তা পরিষদে ফের প্রস্তাব এনেছে পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোববার প্রস্তাবটি এনেছে আমিরাত।

প্রস্তাবের একটি খসড়া অনুলিপি পেয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। সেখানে বলা হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা সামগ্রী পৌঁছানোর জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

 

নিরাপত্তা পরিষদে ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। সোমাবার সেটির ওপর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ভোট হবে।

 

দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গত ২৫ নভেম্বর প্রথমবারের মতো বিরতিতে যায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। ১ ডিসেম্বর উপত্যকায় ফের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় অস্থায়ী এই মানবিক বিরতি।

 

গাজায় হামাস-আইডিএফের তীব্র সংঘাতের মধ্যেই গত ৯ ডিসেম্বর উপত্যকায় ফের যুদ্ধবিরতি চেয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো প্রস্তাব তোলে আমিরাত। তবে পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির (ভেটো) কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।

নিরাপত্তা পরিষদে আমিরাতের প্রস্তাব বাতিল হওয়ার কয়েক দিন পর, ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় এবং সাধারণ পরিষদের ১৯১টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৫৩টিই সেটির পক্ষে ভোট দেয়।

 

মূলত সাধারণ পরিষদের ভোটের ফলাফলকে আমলে নিয়েই দ্বিতীয়বার এ পদক্ষেপ নিয়েছে আমিরাত।

 

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

 

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি।

 

অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা।

 

এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৬ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন; এবং রয়েছেন শিশু, নারী, তরুণ-তরুণী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা— সব বয়সী মানুষ।

 

৭ দিনের অস্থায়ী বিরতির সময় নিজের কব্জায় আটক জিম্দিরে মধ্যে থেকে ১১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস; বিপরীতে এই সময়সীমায় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে।

Back to top button