জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল।
শুক্রবার (সেপ্টেম্বর ২৭) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস। ভাষণে ছাত্র-জনতার আন্দোলনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বলতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন প্রথমদিকে মূলত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছিল। পর্যায়ক্রমে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এরপর সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখেছে, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই আজ আমি বিশ্বসম্প্রদায়ের এ মহান সংসদে উপস্থিত হতে পেরেছি।
‘আমাদের গণমানুষের, বিশেষ করে তরুণ সমাজের, অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে, যোগ করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, এই গণআন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার ও উন্নয়নের সুবিধা বঞ্চিত বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারিত্ব চেয়েছিল। আমাদের জনগণ একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, যার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম জীবন উৎসর্গ করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ঢাকা : প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এই তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে। বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করেও, বুক পেতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আমাদের এই তরুণরা। অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার হয়েছিল আমাদের তরুণীরা।