বিদেশি

পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন

নগর খবর ডেস্ক : পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ৩০ ডিসেম্বর শনিবার পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে অতিথিদের অংশগ্রহণে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই আলোচনা সভায় প্রবাসীরা তাদের তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পর্তুগালের অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।

বক্তারা প্রবাসী ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানসহ যে সকল প্রবাসীরা বিদেশে মৃত্যুবরণ করেন তাদের লাশ সরকারি খরচে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাছাড়া বাংলাদেশ বিমান বন্দরে প্রবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়টিও উঠে আসে।

প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত এ বিষয়গুলো সরকারের নিকট উপস্থাপন করবেন বলে সকলকে আশ্বাস প্রদান করেন। এরপর তিনি পর্তুগাল প্রবাসীদের বিভিন্ন অর্জন সকলের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন। তিনি জানান পর্তুগাল প্রবাসীরা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশীরখ পর্তুগাল থেকে প্রায় ২৯ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে বলে তিনি তথ্য নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পর্তুগাল প্রবাসীদের অংশগ্রহণ রাষ্ট্রদূত পর্তুগাল প্রবাসীদের ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানান, এছাড়া তিনি ভবিষ্যতে সঠিক চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান। তাছাড়া সকল প্রবাসী একসঙ্গে কাজ করে পর্তুগালে একটি সুন্দর বাংলাদেশ কমিউনিটি গড়ে তোলার বিষয়ে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।

প্রবাসী দিবস উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় পর্তুগাল প্রবাসী এবং স্থানীয় পর্তুগিজ সোসালিস্ট পার্টির নেতা রানা তসলিম উদ্দিন বলেন, জাতীয় প্রবাসী দিবস প্রবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হলে প্রতিবছর প্রবাসীরা এই দিনে তাদের সুখ-দুঃখ এবং দাবির কথা জানাতে পারবে। প্রবাসীদের জন্য একটি জাতীয় দিবস নির্ধারণ করায় তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিশু কিশোরদের জন্য বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয় এর সঙ্গে আগত অতিথি নারীদের নিয়ে বালিশ খেলা এবং পুরুষদের জন্য বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।

Back to top button