আইন-আদালত

মুক্তিযোদ্ধার ঘাড় মটকে দেওয়ার হুমকি, সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে শোকজ

নগর খবর ডেস্ক : বীর মুক্তিযোদ্ধার ‘ঘাড় মটকে দেওয়ার’ হুমকির ঘটনায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে লালমনিরহাট-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে শোকজ করেছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট-২ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং লালমনিরহাট সহকারী জেলা ও দায়রা জজ মো. তাহমীদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে মন্ত্রীকে শোকজ করা হলেও গণমাধ্যমকর্মীরা জেআজ শোকর কাগজ হাতে পেয়েছেন।

এর আগে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মর্তুজা হানিফ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মর্তুজা হানিফ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি লালমনিরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হকের ঈগল প্রতীকের সমর্থক।

গোলাম মর্তুজা হানিফ তার অভিযোগে বলেন, ‘গত ২৩ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে বলতে শোনা যায়, ‘সেদিন ভুল্যারহাটে মিটিংয়ে গোলাম মর্তুজা হানিফ যে বাজে কথা বলেছে, তাকে সতর্ক করে দিচ্ছি। এই ধরনের বাজে কথা যদি আর কোনোদিন বলো, তোমার ঘাড় মটকে দেব। তুমি এখনো লোক চেনো না।’

গোলাম মর্তুজা হানিফ আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি করেছে। যেকোনো সময় হামলার আশঙ্কা করছি। এভাবে ঘাড় মটকে দেওয়ার হুমকির মাধ্যমে আমাকে প্রাণনাশের প্রকাশ্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ পাওয়ার পরদিন ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মো. তাহমীদুর রহমান এই শোকজ করেন।

শোকজে উল্লেখ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদ অভিযোগকারীকে ঘাড় মটকানোর মাধ্যমে বাদীর প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছেন, যা নির্বাচন আচরণবিধির ১১(ক) ধারায় বিধান লঙ্ঘন। তাই নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে কেন অনুসন্ধানপূর্বক নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে না তা ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১১টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যার বলেন, অভিযোগটি আমরা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের নিকট পাঠিয়েছি। তারা বিধিমতো ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

Back to top button