রাবিতে শৈত্যোৎসব ও পিঠাপুলি মেলা


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী শৈত্যোৎসব ও পিঠাপুলি মেলা। মেলায় অন্তত শতাধিক স্টলে পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম পিঠাপুলি। এছাড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেলার আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধন করা হয়।
উৎসবের আহ্বায়ক কেএসকে হৃদয় জানান, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধারণ ও চর্চার লক্ষ্যে প্রতি বছর এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। তরুণ শিক্ষার্থী উদ্যোক্তারা মেলায় বিভিন্ন ধরনের পিঠা এবং অন্যান্য পণ্য স্টলে বিক্রি করছেন। উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করতে স্থানীয় লোক সংস্কৃতির অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও উৎসব কমিটি সদস্যরা কাজ করছেন।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে শতাধিক স্টল বসেছে, যেখানে পিঠাপুলির পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন পোশাক ও হস্তশিল্পের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। স্টলগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে দুধ মনমোহন, মাল পোয়া, মালাই রোল, দুধ কুলি, গোলাপ পিঠা, নকশী পিঠা, ভাপা, চিতই, পাঠীসাপটা, তেল পিঠা, তারা পিঠা, লবঙ পিঠা এবং ডাবের পুডিংসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পিঠাপুলি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে নাচ, গান, আবৃত্তি ও অভিনয় দর্শকদের কাছ থেকে দারুণ প্রশংসা পেয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, শীতে এমন উৎসবের আয়োজন তাদের জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা, যেখানে লোক সংস্কৃতির উপস্থিতি আরও বেশি আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহ পরাণ বলেন, “আমরা উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রায়ই বাইরে থাকি, তাই শীতকালে বাড়িতে গিয়ে তেমন পিঠাপুলি খাওয়া হয় না। কিন্তু ক্যাম্পাসে এমন উৎসব আয়োজন খুবই আনন্দদায়ক।”