শপথ নিলেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা
নগর খবর ডেস্ক : বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
বঙ্গভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
যারা শপথ নিলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩), আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), আসাদুজ্জামান খান কামাল (ঢাকা-১২), মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩), নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), মো. আবদুর রহমান (ফরিদপুর-১), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬), নসরুল হামিদ (ঢাকা-৩), মোহাম্মদ আলী আরাফাত (ঢাকা-১৭), রুমানা আলী (গাজীপুর-৩), মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), আহসানুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-৬), ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট), মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫), মহিব্বুর রহমান (পটুয়াখালী-৪), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), মো. ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), আবদুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), মো. আবদুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), শফিকুর রহমান চৌধুরী (সিলেট-২), সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট), সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), জুনাইদ আহমেদ (নাটোর-৩), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২)।
মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ যারা
এ তালিকায় রয়েছেন- কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোহাম্মদ এ আরাফাত, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মো. আব্দুস শহীদ, আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হাসান পাপন, সামন্ত লাল সেন, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সিমিন হোসেন রিমি, মো. মহিবুর রহমান, রুমানা আলী, মো. শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল ইসলাম টিটু ও নারায়ণ চন্দ্র চন্দ
গত মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন যারা
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক বীর বাহাদুর উশৈ সিং, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন।
সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন। ওই তালিকার একটি কপি তিনি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।
নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হওয়া ৬২ জনের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগের নেতা। জাতীয় পার্টি যে ১১টি আসনে জয়লাভ করেছে সেগুলোতে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এছাড়া জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে আর কল্যাণ পার্টি যে আসনে জিতেছে সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে।