শিক্ষক নেতাদের নৌকায় ভোট প্রার্থনা
নগর খবর ডেস্ক : রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ পরিচালিত সরকারি কারিকুলাম প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রাজবাড়ী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন স্থানীয় শিক্ষক নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে কালুখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন কক্ষে ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এতে উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের ৪০টি স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষকরা অংশ নেন। একপর্যায়ে কর্মশালায় আগত শিক্ষকদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একত্রিত করা হয়। জমায়েতে সমবেত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন পাংশা-কালুখালী শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি ও আখরজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকলেসুর রহমান এবং রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও মাছপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফুরা বেগম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আখরজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোকলেসুর রহমান বলেন, এমপি মহোদয়ের (জিল্লুল হাকিম) সঙ্গে সকাল ৮টার (বৃহস্পতিবার) দিকে কথা হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে এখানে এসেছি। আমরা অধিকাংশ শিক্ষকই নির্বাচনী ডিউটিতে থাকব। আমাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন যারা আছেন তাদের কনভিন্স করবেন যাতে অধিক সংখ্যক লোক ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত করা যায় এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে পারি। ইনশাআল্লাহ জিল্লুল হাকিম এবারও নির্বাচনে জয়যুক্ত হবেন বলে আমাদের ধারণা। আমরা যাতে অধিক সংখ্যক লোক ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত করতে পারি এ প্রত্যয় রাখতে হবে।
ওই জমায়েতে সফুরা বেগম শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জাতি গড়ার কারিগর। এবারের নির্বাচনে আপনারা আপনাদের পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে বলবেন যাতে সকলেই নৌকায় ভোট দেয়।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মূল পর্ব বাদ দিয়ে শিক্ষক নেতাদের ভোট প্রার্থনায় বিরক্ত হলে সফুরা বেগম উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ‘এরা তো মানুষই না ’ বলে খেদোক্তি করেন। এমনকি সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের কাছে শিক্ষকদের বিষয়ে নালিশ করার হুমকি দেন তিনি।
প্রশিক্ষণ চলাকালে এভাবে আপনি নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে পারেন কি না এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ঢাকা পোস্টকে সফুরা বেগম বলেন, আমি রাজনীতি করি। আমি জেলা পরিষদের সদস্য, আমি নৌকার পক্ষে ভোট চাইতেই পারি। তবে আমি প্রশিক্ষণ চলাকালে ভোট চাইনি। শিক্ষকরা যখন টিফিনে বের হয়েছিল তখন ভোট চেয়েছি।
শিক্ষকদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি হুঁশিয়ারি দিইনি, শুধু ভোট চেয়েছি।