ধর্ম

২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নিয়েছেন যে আলেমরা

নগর খবর ডেস্ক : নিজের সমাজ-দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এমন আলেমের সংখ্যা বেশ দীর্ঘ। তারা বেঁচে থাকার সময়ে তাদের শূন্যতা অনুভব হয় না খুব একটা। তবে তাদের বিদায়ে শূন্যতা তৈরি হয় ধীরেধীরে। যা সহসাই পূরণ হয় না। ২০৩০ সালের আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নেওয়া বরেণ্য আলেমদের তালিকা তুলে ধরা হলো এখানে-

পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ আলেম মাওলান এতহেরামুল হক থানবী

বছরের শুরুর দিকেই ইন্তেকাল করেন হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানবি রহ.-এর নাতি পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ আলেম মাওলান এতহেরামুল হক থানবী। তার ইন্তেকাল হয় ৮ জানুয়ারি (রোববার)।

মাওলানা এহতেরামুল হক থানভি মাওলানা এহতেশামুল থানভির বড় ছেলে। মাওলানা ইহতিশামুল হক থানভি হাকিমুল উম্মত খ্যাত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ.-এর ভাতিজা ও ছাত্র ছিলেন। তিনি জামিয়া এহতিশামিয়্যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। কিছু দিনের জন্য পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পিটিআই করাচির সাথে যুক্ত ছিলেন।

তার বাবা মাওলানা এহতেশামুল থানভি ১৯৪৭ সালের ৯ আগস্ট করাচিতে আসেন।

সৌদি দায়ি শায়খ আবদুল্লাহ বিন উমর বানামাহ

সৌদি আরবের বিশিষ্ট ইসলামী দায়ি শায়খ আবদুল্লাহ বিন উমর বানামাহ ইন্তেকাল করেন ২৭ জানুয়ারি (শুক্রবার)। শায়খ আবদুল্লাহ বানামাহ সৌদি আরবের বিভিন্ন মসজিদ ও প্রোগ্রামে ইসলাম বিষয়ক আলোচনা করতেন। ৩০ বছর আগে দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েও সব প্রতিবন্ধকতাকে ডিঙিয়ে ধৈর্য ও অবিচলতার প্রতীক ছিলেন তিনি। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে জায়গা করে নেন সবার মনে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শায়খ আবদুল্লাহর মৃত্যু-পূর্ব উপদেশ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তরুণদের উপদেশ দিয়ে ভিডিওতে তিনি সবাইকে নামাজ আদায়, বাবা-মায়ের আনুগত্য ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রেখে তাওবার মাধ্যমে পাপ মুক্ত জীবন গড়ার আহ্বান জানান। তা ছাড়া আল্লাহর কাছে রমজান পর্যন্ত তার জীবন দীর্ঘ হওয়ার দোয়াও করেন। শায়খ আবদুল্লাহ বিন উমর বানামাহ ১৯৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই কারাতে ও কুংফুর প্রতি বিশেষ অনুরাগ ছিল তার। ১৯৯৩ সালে একদিন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় তিনি গুরুতর আহত হন। সাঁতার কাটতে পুলে লাফ দেওয়ার সময় তার মাথায় আঘাত লেগে ঘাড় ভেঙে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এরপর তার পুরো শরীর অবশ হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনার পর থেকে পুরো জীবন তিনি মানুষের মধ্যে ইসলাম প্রচারে কাজ করে যান।

জীবনের গল্প বলতে গিয়ে বানামাহ সৌদি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ৩০ বছর আগে একদিন বাবার সামনে তার পকেট থেকে সিগারেটের লাইটার পড়ে যায়। তার বাবা লাইটার সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলেছিল, এটা তার বন্ধুর। তখন তার বাবা বলেছিল, তোমার বন্ধু সিগারেট খায় আর তোমার কাছে লাইটার! বরং তুমি মিথ্যা বলছ। তখন বানামাহ মিথ্যা শপথ করে বলে যে সে সত্য বলছে; সে ধূমপান করে না। একথা শুনে তার বাবা বলেছিল, তুমি মিথ্যা শপথ করলে আল্লাহ যেন তোমার ঘাড় ভেঙে দেন। এরপর একদিন বানামাহ স্কুল থেকে পালিয়ে বন্ধুদের নিয়ে সাঁতার কাটতে জেদ্দার একটি পার্কে যায়। সেখানকার পুলে লাফ দিলে তার ঘাড় ভেঙে রক্তক্ষরণ ঘটে এবং তার পুরো শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

সৌদির ইসলামী শিক্ষাবিদ ড. ফাতেমা নাসিফ

সৌদি আরবের নারী ইসলামী শিক্ষাবিদ কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ফাতেমা নাসিফ বিনতে উমর ইন্তেকাল করেন ৩১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)। জেদ্দায় ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি। সৌদি নারীদের মধ্যে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর শিক্ষা প্রচারে তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল।

আধুনিক যুগে নারীদের মধ্যে ইসলামী শিক্ষা প্রসারে অগ্রনায়ক ছিলেন তিনি। সৌদির বাইরে বিভিন্ন আরব ও ইসলামী রাষ্ট্রেও তিনি সমধিক পরিচিত। তিনি ছিলেন আরব উপদ্বীপে দ্বিন প্রচারে অগ্রগামী নারীদের অন্যতম। ইসলামী শিক্ষা অনুসারে নারীদের গড়ে তোলার প্রচেষ্টার জন্য সবার কাছে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।

১৯৪৪ সালে জেদ্দার সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক পরিসরে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিক স্তর শেষ করে রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমান কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি) থেকে ইতিহাসে স্নাতক সম্পন্ন করেন। সেই সময় নারীদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইতিহাস বিভাগ ছাড়া অন্য কোনো বিভাগে ভর্তির সুযোগ ছিল না। তাই প্রথমে এই বিভাগেই স্নাতক করেন। পরবর্তীতে মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলে তিনি শরিয়াহ বিভাগে পুনরায় ভর্তি হন।

এরপর ১৯৮২ সালে মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ বিভাগ থেকে কোরআন ও সুন্নাহ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শাখার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা করেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি একাডেমিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রবীণ আলেম ড. ইবরাহিম মুহাম্মদ আবদুল্লহ আল-খাওলি

মিশরের কায়রোতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক ও প্রবীণ আলেম ড. ইবরাহিম মুহাম্মদ আবদুল্লহ আল-খাওলি ইন্তেকাল করেন ৮ এপ্রিল (শনিবার)। ৯৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ড. সালামাহ দাউদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় আজ একজন বরেণ্য আলেমকে হারিয়েছে। ইসলামী জ্ঞানের জগতে তিনি ছিলেন অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর হাতে গড়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজন্ম। তাঁর গভীর পাণ্ডিত্ব এ যুগে সত্যিই বিরল। রোজা অবস্থায় তিনি মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেলেন।’

ড. ইবরাহিম আল-খাওলি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তাকে আল-আজহারের প্রভাবশালী আলেমদের অন্যতম মনে করা হতো।

১৯২৯ সালের ১৭ মে তিনি মিসরের গারবিয়া প্রদেশের মারকাজু সানতা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে তিনি মাহাদ দাসুকে পড়াশোনা করেন। অতঃপর মাহাদ তানতায় উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়েন। ১৯৫২ সালে আল-আজহারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।

১৯৭২ সালে তিনি বালাগাত ও নাকদ শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং একই বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটি এবং ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ইসলামাবাদে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।

তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলীর মধ্যে রয়েছে- মানহাজুল ইসলাম ফিল হায়াত, লুজুমিয়্যাতু আবিল আলা, আস-সুন্নাতু বায়নান লিল কোরআন, আত-তারিদু ফিল কোরআনিল কারিম, মুতাশাবিহুল কোরআন।

অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ডের প্রধান মাওলানা রাবে হাসানি নদভী

ভারতের প্রখ্যাত আলেম, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ডের প্রধান, ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার মহাপরিচালক মাওলানা রাবে হাসানি নদভী ইন্তেকাল করেন ১৩ এপ্রিল, ২১ রমজান (বৃহস্পতিবার)।

মাওলানা রাবে হাসানি নদভী প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদদের একজন। তিনি সামাজিক জীবনে ইসলামী অনুসাশনের বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, বর্তমানে মানুষ নামাজ রোজার মধ্যেই ইসলামকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে, এবং ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে ইসলামকে উপেক্ষা করে চলে। তিনি বিয়েতে যৌতুকের ঘোর বিরোধী ছিলেন। এর বিপরীতে বাবার সম্পদে মেয়েদের অধিকার নিশ্চিতের প্রতি জোর দিতেন।

তিনি বলতেন, ইসলাম জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পথনির্দেশনা প্রদান করে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে হালাল হারাম বাছ-বিচার করে চলা একজন মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য।

মাওলানা রাবে হাসানি নদভী ১৯২৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মুফাক্কিরে ইসলাম খ্যাত মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী রহ.-এর ভাগিনা। তিনি অনেক গ্রন্থেরও লেখক ছিলেন।

তিনি একাধারে রাবেতায়ে আলমে ইসলামী মক্কা মুকাররমার সদস্য ও এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইসলামী সাহিত্য সংস্থা সৌদি আরবের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইসলামিক রিসার্চ অ্যান্ড ব্রডকাস্টিং কাউন্সিল, লখনউর ধর্মীয় শিক্ষা কাউন্সিল এবং ইসলামিক ফিকহ একাডেমী ভারতের পৃষ্ঠপোষকদের একজন ছিলেন।

তিনি নিজের পারিবারেই প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামাতে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে নদওয়াতে উচ্চতর শিক্ষা সমাপ্ত করেন, এরপর ১৯৪৮ সালে এক বছর দারুল উলুম দেওবন্দে ছিলেন। পড়াশোনা শেষে ১০৪৯ সালে নদওয়াতুল উলামাতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

এরপর তিনি ১৯৫০-১৯৫১ পর্যন্ত দাওয়াত ও তালিমের কাজে সৌদি আরব ও হিজাজ অঞ্চলে অবস্থান করেন। এরপর ১৯৫৫ সালে দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার আরবি ভাষা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। আরবি ভাষায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ইন্ডিয়া উত্তরপ্রদেশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

১৯৯৩ সালে তিনি দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। ২০০২ সালের জুন মাসে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাবেক সভাপতি কাজী মুজাহিদুল ইসলাম কাসমির মৃত্যুর পর তিনি সর্বসম্মতিক্রমে এর প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৯৭৩ সালে ভারতীয় মুসলিমদের জন্য ইসলামি শরিয়া আইন সংরক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার লক্ষ্যে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড গঠিত হয়। এর মাধ্যমে মুসলিম ধর্মাবলম্বী সব গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করা হয়। ভারতীয় মুসলিমদের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, পণ্ডিত, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও অন্যান্য পেশার ব্যক্তিরা এর সদস্যদের মধ্যে আছেন।

মাওলানা রাবে হাসানি নদভী আমেরিকা, জাপান, মরক্কো, মালয়েশিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, উজবেকিস্তান, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বহু আরব, ইউরোপীয় ও আফ্রিকান দেশ ভ্রমণ করেছেন।

নামাজে ইমামতির সময় মিশরের জনপ্রিয় কারী শায়খ আব্দুল্লাহ কামিলের ইন্তেকাল

মাত্র ৩৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন মিশরের জনপ্রিয় কারী শায়খ আব্দুল্লাহ কামিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে নামাজে ইমামতি করার সময় ইন্তেকাল করেন তিনি।

আমেরিকা যাওয়ার কয়েকদিন আগে ১০ এপ্রিল কারী আবদুল্লাহ কামিলের একটি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তিনি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বলেন, আল্লাহ আমাকে একটি পুত্র দিয়েছেন যার নাম আমি সুফিয়ান রেখেছি।

শায়খ আবদুল্লাহ আহমদ কামিল ১৯৮৫ সালে মিসরের আল-ফাইউম প্রদেশের ইউসুফ সিদ্দিক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জন্মগতভাবেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছিলেন। ছোটবেলায় ব্রেইল পদ্ধতিতে পুরো কোরআন হিফজ করেন। এরপর ২০০৫ সালে আল-ফাইউম বিশ্ববিদ্যালয়ের দারুল উলুম কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১৫ সালে তিনি আল-ফজর চ্যানেলে সম্প্রচারিত কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

মরহুম শায়খ আবদুল্লাহ চলতি বছরের রমজানে ২৪ বার পবিত্র কোরআন খতম করেছেন। গত বছর তিনি ২৮ বার খতম করেছিলেন।’

শায়খ আবদুল্লাহ কুয়েত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গত রমজানে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তা ছাড়া বিভিন্ন সেন্টার ও টিভি-চ্যানেলে তিনি নিয়মিত ইসলামী আলোচনা করতেন। মনমুগ্ধকর তিলাওয়াতের জন্য শায়খ আবদুল্লাহ অনলাইন ও অফলাইন সবখানে খুবই জনপ্রিয়। ইউটিউব চ্যানেলে তার তিলাওয়াতের অনেক ভিডিও রয়েছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তার তিলাওয়াত নিয়মিত সম্প্রচার হয়।

Back to top button