নগর খবর ডেস্ক : গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফর করেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। সে সময় দেশটি থেকে বাংলাদেশের এয়ারবাস কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামীতে দেশটি থেকে এয়ারবাস কেনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ফ্রান্স ও জার্মানির রাষ্ট্রদূত। দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস কেনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এয়ারবাস কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে (ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে)। এটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরেও আলোচনা হয়েছে। আমাদের ইকোনোমি যখন পারমিট করবে তখন আমরা পারব।
মাখোঁর বাংলাদেশ সফরে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ এখনও চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, স্যাটেলাইট-২ আমাদের একটা অগ্রাধিকার। বিশেষ করে, আবহাওয়া বার্তা পাঠানোর জন্য, নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে সেপ্টম্বরে এমওইউ হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের নির্বাচন ছিল। নিশ্চই দ্রুত কাজটি করা হবে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই-এর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পরপরই যে গুটি কয়েক দেশ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল, দেশ দুটি তাদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হচ্ছে জার্মানি। ফ্রান্সও আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ওপরের দিকে।
‘সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার জন্য বাণিজ্য বাস্কেট আরও বাড়ানোর জন্য আমরা আলোচনা করেছি।’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলরের অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন সেগুলো দুই রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
জার্মানি ও ফ্রান্সকে ধন্যবাদ
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ থেকে অনেক যুদ্ধশিশুকে দত্তক হিসেবে নিয়েছিল জার্মানি ও ফ্রান্স। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের যুদ্ধশিশুদের নিয়েছিল জার্মানি ও ফ্রান্স। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার কারণেই ওই শিশুদের জন্ম হয়েছিল। এ জন্য তাদের যুদ্ধশিশু বলা হয়। তবে জার্মানি ব্যাপক হারে নিয়েছিল। ওই সময় শিশুগুলো অনাথ হয়ে গিয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধাও পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন। তাদেরও চিকিৎসা দিয়েছিল দেশ দুটি। আমি এজন্য জার্মানি ও ফ্রান্সকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।