আ. লীগের ইশতেহার আমাদের উন্নয়নের পরম্পরার গল্প
নগর খবর ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের ইশতেহার নিঃসন্দেহে আমাদের উন্নয়নের পরম্পরার গল্প। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হওয়ার গল্প এবারের ইশতেহার। এটা শুধু গল্পই নই, এর মাঝে রুপরেখাও আছে। একই সঙ্গে কোথায় কোথায় চ্যালেঞ্জ আছেও তাও তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
আজ (শনিবার) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ‘আওয়ামী লীগের ইশতেহার-স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আতিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা গত ১৫ বছরে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছেন। আসন্ন নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলের গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে পাঁচ গুণ, দেশের বাজেটের আকার বেড়েছে ১২ গুণ। এ ছাড়া কর্ম ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ৪৩ শতাংশ উন্নীত হয়েছে যা সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতায় এবারের ঘোষিত ইশতেহার বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাছে আরও বেশি মর্যাদাশীল করবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কথা হচ্ছে, কিন্তু একই সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে কী হচ্ছে তা বলা হচ্ছে না। আমাদের মনে রাখতে হবে পুরো বিশ্বসহ আমরা একটা বিপর্যয়ের মধ্য থেকে উঠে এসেছি। সামনের নির্বাচনে তরুণদের ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ভোট দিতে গেলেই দেশটা সুন্দর হয়ে উঠবে।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে কৃষিতে যেসব প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে তার মাধ্যমে দেশে কৃষি বিপ্লব হয়েছে। এবারের ইশতেহার বাস্তবায়ন হলে দেশের
১৮ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষি পণ্য রপ্তানি করে অর্থনৈতিকভাবে দেশ আরো স্বাবলম্বী হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন— চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
আলোচনা সভা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেনি পেশার মানুষকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে ‘গো ভোট’ ক্যাম্পেইন করেন তারা।