কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। শনিবার দিনভর গণনা শেষে এ হিসাব পাওয়া গেছে।
পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মিজাবে রহমত সন্ধ্যা ৬টায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সকাল ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স ও দুটি ট্রাঙ্ক খুলে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। এবার খোলা হয়েছে ৩ মাস ১৪ দিন পর। এবারই প্রথম ৯ টি দানবাক্স ছাড়াও দুটি ট্রাঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৭ টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. এরশাদ মিয়া, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রওশন কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মী ছাড়াও মাদ্রাসার ২৮৫ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য অংশ নেন। প্রায় ১১ ঘণ্টা গণনা শেষে পাওয়া যায় ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট সকালে মসজিদটির ৯টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সে সময় টাকার পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। গতবারের তুলনায় এবার ৯৯ লাখ ২১ হাজার ২৫৮ টাকা বেশি পাওয়া গেছে। এর বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।
মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলসহ নানা ধরণের জিনিসপত্র দান করেন অসংখ্য মানুষ।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। সম্প্রসারণের পর বর্তমানে মসজিদের আওতাভুক্ত জমির পরিমাণ তিন একর ৮৮ শতাংশে।