জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে সাবেক দুই সাংসদসহ ৩২৮ জনকে আসামি করে আরো এক মামলা

জয়পুরহাটে সাবেক দুই সাংসদসহ ৩২৮ জনকে আসামি করে আরো এক মামলা। জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা,ককটেল ও পেট্রল বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়ে সাবেক দুই সাংসদ,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান,সাবেক মেয়র এবং ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩২৮ জন আ-লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।এ মামলায় আরও ৩০০-৩৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর-২০২৪) দুপুর আনুমানিক একটার দিকে মিনকুল হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে এটি মামলা করেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর-২০২৪) রাতে মামলার বিষয়টি ফাঁস হয়।জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির নগর খবর কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী মিনকুল হোসেন জেলার সদর উপজেলার থিয়ট গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে। তিনি জয়পুরহাট বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ মামলার সাবেক দুই সাংসদরা হলেন(জয়পুরহাট-১) সামছুল আলম দুদু ও(জয়পুরহাটে-২)সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ।এছাড়া আরও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জেলা আ-লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট,সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন,জয়পুরহাট পৌর সাবেক মেয়র মোস্তফিজুর রহমান,আব্দুল আজিজ মোল্লা,জয়পুরহাট পৌর আ-লীগের সাধারণ সম্পাদক কালীচরন আগরওয়ালা,জেলার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মিঠুসহ অন্যান্যরা ,সোলায়মান আলী,কালাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন,ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া সরদার,মোস্তাকিম মন্ডল,আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী মাস্টার,পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা,মনিরুল শহীদ মন্ডল,পাঁচবিবি পৌর সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান,সাবেক সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এর ভাই আবু সাঈদ আল মাহবুব চন্দন, জেলা আ-লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী, জেলা আ- লীগের সমাজকল্যণ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হোসেন হিমু,জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল দেওয়ান মিলন, আক্কেলপুর পৌর সাবেক মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী, ক্ষেতলাল উপজেলা আ- লীগের সভাপতি ও আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান নাদিম, চকবরকত ইউপি’র চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম পিন্টু,মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হাবিব তালুকদার লজিক, জিন্দারপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া,পুনট ইউপি’র চেয়ারম্যান কুদ্দুস ফকিরসহ আরও অনেকে।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন,গত ৪ আগস্ট-২০২৪ জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল।ওই দিন দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে শান্তিপূর্ণ মিছিল বাটার মোড়ে পৌঁছায়। তখন এক ও দুই নম্বর আসামির নেতৃত্বে এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৩৫০ জন আ-লীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত আক্রমণ চালায়।

আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, পেট্রল বোমা, ককটেল, পিস্তল নিয়ে এ হামলা চালায়।এসময় সাত নম্বর আসামির হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করেন।তখন বাদী মাথা নিচু করে বসে পড়লে প্রাণে রক্ষা পান। ২৩ নম্বর আসামি তার হাতে থাকা সামুরাই দিয়ে আঘাত করলে একজন স্বাক্ষী তাকে টান দিয়ে সড়ে নিলে প্রাণে রক্ষা পান। ৬ নম্বর ককটেল নিক্ষেপ করলে তিনি বসে পড়ায় রক্ষা পান। ৮ নম্বর আসামির হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ছড়া গুলি ছোড়েন। এতে বাদীর ডান চোখ গুলিবিদ্ধ হয়।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হুমায়ূন কবির নগর খবর কে বলেন, শিক্ষার্থী মিনকুল হোসেন বাদী হয়ে-৩২৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলা এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করে মামলার তদন্ত চলছে।
এম.এ.জলিল রানা,জয়পুরহাট:১২ সেপ্টেম্বর-২০২৪।

Back to top button