অনেক সময় ঠোঁট কেন কালো হয়ে যাচ্ছে, তার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। লিপস্টিকের আড়ালে চাপা পড়ে যায় ঠোঁটের কালচে দাগছোপ। তবে এগুলো লুকিয়ে না রেখে বরং চিরতরে তা মুছে ফেলতে পারলে ভালো। ত্বকের ট্যান দূর করতে আমরা সানস্ক্রিন ব্যবহার করে থাকি। তবে শুধু ত্বকে নয় ঠোঁটেও যে ট্যান পড়তে পারে, সেটা অনেকেরই জানা নেই। প্রায় সময় ঠোঁটের রং পরিবর্তন হতে দেখা যায়, ঠোঁটের রং পরিবর্তনের নেপথ্যে রোদের ভূমিকা রয়েছে। কীভাবে পাবেন ঠোঁটের কালচে দাগের হাত থেকে মুক্তি?
তো আর দেরি না করে জেনে নিন ঠোঁটের ট্যান দূর করতে পারেন যেভাবে
১. ব্লুবেরি: অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর ব্লুবেরি স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। উদ্বেগমুক্ত হয়ে দিন শুরু করার জন্য সকালে নাশতার সঙ্গে রাখতেই পারেন ব্লুবেরি। তবে এই ফলের দাম যেহেতু বেশি, তাই সকলের পক্ষে তা কেনা সম্ভব না-ও হতে পারে। এর বদলে জাম খেলেও একই উপকার পাবেন।
২. অ্যালোভেরা জেল: রাতে শুতে যাওয়ার সময় অ্যালোভেরা জেল মেখে দেখতে পারেন। রোদে পোড়া ঠোঁটের সমস্যায় এই নিদান বেশ কার্যকরী। বাজার থেকে কেনা জেল বা গাছের পাতা কেটে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা জেল, দুটোই ব্যবহার করা যায়। ঠোঁট ছাড়াও যে কোনও ধরনের ক্ষত সারিয়ে তুলতেও অ্যালোভেরা জেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম: সূর্যের প্রখর তেজ এবং অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে ত্বকের মতোই ঠোঁটেও সানস্ক্রিনযুক্ত বাম মাখতে হবে। আমেরিকান ‘অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি’তে প্রকাশিত একটি তথ্যে বলা হয়েছে এই সমস্যা থেকে সুরক্ষা দিতে এসপিএফ যুক্ত লিপবাম অভাবনীয় ভাবে কাজ করে।