সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন পবিত্র রমজান মাসের জন্য, যা রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের মাস হিসেবে পরিচিত। এই মাসে মুসলমানরা নিজেদের আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত আমল ও আখলাককে পরিশুদ্ধ করার সুযোগ পান। রমজান মাসটি আল কোরআনের নাজিলের মাস, যেখানে রয়েছে লায়লাতুর কদর, যা হাজার বছরের চেয়ে উত্তম। এই মাস মুসলমানদের তাকওয়া বা খোদাভীতির শিক্ষা দেয় এবং পাপাচার ও অনাচার থেকে ফিরে আসার প্রেরণা দেয়।
রমজানের চাঁদ দেখার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, যেন এই মাস তাদের জন্য শান্তিময় হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের ২৯ তারিখে চাঁদ দেখার জন্য সাহাবিদের নির্দেশ দিতেন এবং নতুন চাঁদ দেখলে কল্যাণ ও বরকতের দোয়া করতেন।
নতুন চাঁদকে আরবিতে ‘হিলাল’ বলা হয়, যা এক থেকে তিন তারিখের তরতাজা চাঁদ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো।” চাঁদরাতের মাধ্যমে নতুন তারিখ শুরু হয় এবং রমজানের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে মুসলমানদের অন্তরে।
রমজান মাসকে স্বাগত জানাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পন্থা অনুসরণ করেছেন, তা মেনে চলা জরুরি। ইসলামি জীবনধারায় যে কোনও মাসের নতুন চাঁদ দেখার দোয়া রয়েছে, যা আল্লাহর রহমত ও কল্যাণ বয়ে আনে।
আসুন, পবিত্র রমজান মাসকে স্বাগত জানাই এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন এই মাস আমাদের জন্য শান্তি ও কল্যাণ নিয়ে আসে। আমিন। আহলান সাহলান মাহে রমজান/রামাদান।