প্রচারণায় বাধার অভিযোগ জানিয়ে সিইসিকে সৈয়দ ইবরাহিমের চিঠি


নগর খবর ডেস্ক : কক্সবাজার-১ আসনে হাতঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক)। নির্বাচনী প্রচারণার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতাকর্মীরা তার হাতঘড়ি প্রতীকের সমর্থকদের বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর পাঠানো এ অভিযোগ সংক্রান্ত চিঠির সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধাদানকারীদের একটি তালিকাও পাঠিয়েছেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
চিঠিতে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম অভিযোগ করেন, কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম তার মদদপুষ্ট জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান) ও দলীয় রাজনৈতিক পদধারী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমার কর্মী ও সমর্থকদের নিয়মিত ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ও হুমকি দিচ্ছে। আবার তারাই আমার ও দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং অভিযোগ করছে। এতে আমার ও আমার দলের ভাবমূতি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি নামধারী অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে।
চিঠির সঙ্গে সন্ত্রাসীদের একটি তালিকা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে সিইসির প্রতি অনুরোধ জানান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ডিসেম্বর। এরপর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।