প্রিমিয়ার লিগে যে অভিজ্ঞতা হলো প্রথম নারী রেফারির
নগর খবর ডেস্ক : ফুটবল মাঠে নারী রেফারি থাকার বিষয়টি নতুন নয়। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গতকাল (শনিবার) প্রথমবারের মতো কোনো নারী রেফারিকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। যদিও রেফারিদের ভালো পারফরম্যান্স নিয়ে সেভাবে আলোচনা হয় না। তবে ইংলিশ লিগে ইতিহাস গড়া রেবেকা ওয়েলশের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত প্রশংসিত হচ্ছে। তবে ৪০ বছর বয়সী এই রেফারি ক্লাব ফুটবলে নতুন নন, আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাশাপাশি মেয়েদের চ্যাম্পিয়নশিপেও দায়িত্ব পালন করেছেন রেবেকা।
গতকাল (শনিবার) প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফুলহ্যাম ও বার্নলি। যেখানে বার্নলির মাঠে ২-০ গোলে হারের স্বাদ পেয়েছে সফরকারী ফুলহ্যাম। তবে ম্যাচটা অতটা আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল না। এমনিতেই দল দুটি অতটা জায়ান্ট পর্যায়ের নয়, তার ওপর ম্যাচটিও অন্য আট দশটি প্রিমিয়ার লিগের লড়াইয়ের মতো। তবে এই ম্যাচে বিশেষ দৃষ্টি ছিল ছেলেদের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোনো নারী রেফারির অভিষেক হওয়ায়।
এর আগে ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের এই নারী রেফারি প্রথমবারের মতো দেশটির প্রফেশনাল কোনো ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া দ্বিতীয় বিভাগের চ্যাম্পিয়নশিপ ও এফএ কাপেও পারফর্ম করতে দেখা গেছে রেবেকাকে। তবে রেফারি হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর পূর্বে সম্পন্ন নতুন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন এই ইংলিশওম্যান। এর আগে রেবেকা ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অধীনে ২০১০-১৯ সাল পর্যন্ত বিচারক বা বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ করেছেন।
এরপর থেকে ওমেন্স সুপার লিগ টুর্নামেন্ট, ইংলিশ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে প্রায় নিয়মিত মুখ রেবেকা। এছাড়া সর্বশেষ ২০২৩ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের নারী ফুটবল বিশ্বকাপেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রিমিয়ার লিগের অভিষেক ম্যাচে কাল প্রথম ১০ মিনিটে দুটি ফাউলের আবেদন নাকোচ করেছেন রেবেকা। ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে যাওয়া কোনো ঘটনায় ফাউল ধরবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন। তবে ম্যাচের ২৫তম মিনিটে রেবেকাকে উদ্দেশ্য করে দুয়ো আসে গ্যালারি থেকে। তখন ফুলহ্যাম ফুটবলার ক্যালভিন বেসের বিরুদ্ধে জশ ব্রাউনহিলকে ফাউল করার দায়ে অভিযুক্ত করলে কেউ কেউ চিৎকার দিয়ে বলে বসেন– ‘তুমি জানো না তুমি কী করছো।’ তবে রেবেকার কোনো সিদ্ধান্ত অহেতুক কিংবা কোনো দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ছিল না বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো।
ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষদিকে বিবাদপূর্ণ মুহূর্ত তৈরি হয় দু’দলের, তখন ফুলহ্যামের পক্ষে হ্যান্ডবলের বদৌলতে পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেবেকা। পরে তার ভিএআরেও বহাল থাকে। যা নিয়ে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ট্রলের শিকার হতে হচ্ছে এই নারী রেফারিকে। তবে পুরো মৌসুম জুড়েই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে দর্শকদের এমন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। রেফারিদের বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও ভিএআরের সিদ্ধান্তে নাখোশ ভক্তরা। এর মাধ্যমে যেমন খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও জোরালো হচ্ছে, তেমনি উদ্বেগ বাড়ছে খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট দলের।