বড়দিন উদযাপনে রণবীরের যে কাণ্ডে থানায় অভিযোগ
নগর খবর ডেস্ক : আবার চর্চায় বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুর। তবে একেবারে পারিবারিক অনুষ্ঠানেই করে বসলেন ভুল। সম্প্রতি কাপুর পরিবারের বড়দিন উদযাপনে স্ত্রী আলিয়া ভাট ও মেয়ে রাহাকে নিয়ে কেক কাটেন তিনি। তবে বড়দিন একটি রীতি পালন করতে গিয়ে ঘটান বিপত্তি।
মেয়ে রাহাকে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আনার জন্য ইতোমধ্যে খবরের শিরোনামে আছেন রণবীর ও আলিয়া। মেয়েকে ঠিক কার মতো দেখতে সেই নিয়েই সবার চর্চায় তারা। মা, বাবা নাকি দাদা ঋষির ছোঁয়া রয়েছে রাাহার মুখে, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। কেউ বা আবার বলছেন রণবীর কন্যার মুখ নাকি একেবারে রণবীরের দাদা অভিনেতা রাজ কাপুরের মতো। তবে এইসবের মধ্যেই আবার নতুন সমস্যার সম্মুখীন রণবীর।
কাপুর পরিবারের বড়দিন উদযাপনে উপস্থিত থাকেন পরিবারের প্রায় সবাই। পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটানোই এইদিনের মূল লক্ষ্য। কুনাল কাপুরই রেখেছিলেন এই বছরের ক্রিসমাস পার্টি। বড়দিন উদযাপনে একটি রীতি হল কেকের ওপর মদ ঢেলে তাতে আগুন লাগিয়ে, তারপর সেই কেক কাটা।
এই দিন কাপুর পরিবারেও ছিল সেই আয়োজন। ক্রিসমাস স্পেশাল কেকে মধ্যে মদ ঢালার পর তাতে আগুন লাগাতে দেখা যায় রণবীরকে। কিন্তু সমস্যাটা হয় যখন রণবীর পুডিং কাটার মূহূর্তে ‘জয় মাতা দি’ বলে ওঠেন। ঠাকুর-দেবতার নাম নিয়ে এইরূপ আচরণ সবারই দৃষ্টিকটু লেগেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রণবীরের এ কাণ্ডে সঞ্জয় তিওয়ারী নামক এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। রণবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, হিন্দু ধর্মে আমরা সব দেবতার আগে অগ্নি দেবতাকে পূজা করি। আর সেই অগ্নিদেবতার সঙ্গেই মদ জড়িয়ে কাপুর পরিবার ভুল করেছে। তার থেকেও বড় কথা অন্য ধর্মের রীতি রালন করার সময় আমাদের দেবতার নাম নেওয়ার কোনো কারণ নেই। সঞ্জয় তিওয়ারী তার উকিলদের সাহায্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।