বদিউল আলম বিএনপির ‘খাস দালাল’ : কাদের
নগর খবর ডেস্ক : সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বিএনপির একজন ‘খাস দালাল’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বদিউল আলম সাহেব বিএনপির একজন খাস দালাল। কাজেই বিএনপির রিজভী যা বলে, বদিউল আলমও তাই বলেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা দেশ পরিচালনা করছি, কিন্তু সবকিছু যে শতভাগ পারফেক্টফুললি হচ্ছে— এমন দাবি আমরা করি না। আমাদের সমালোচনার বিষয় থাকলে অবশ্যই সমালোচনা হবে। সমালোচনা যে কোনো মানুষকে শুদ্ধ করে। সমালোচনা আর বিতর্ক হলেই একমাত্র শুদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকে। যেমন- পার্লামেন্টে যদি কোনো বিষয়ে সমালোচনা হয়, আমরা ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাই। সমালোচনা যদি নাই হয়, তাহলে বিরোধী দল কেন থাকবে?’
২০০৮ সালে সবাইকে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন হলো, কিন্তু ২০২৪ সালে এসে কী এমন হলো যে সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করা যাচ্ছে না— এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নির্বাচনে আসছে না, আপনি দয়া করে এই প্রশ্নটি তাদেরকে করুন। এই প্রশ্নের জবাব তো আমার কাছে নেই। যারা আসছে না, তারা কেন আসছে না; বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবে।’
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা আর মামুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে’— সুজন সম্পাদকের এমন বক্তব্যের জেরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি— ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও বলেছি যে, বদিউল আলম সাহেব বিএনপির একজন খাস দালাল। কাজেই বিএনপির রিজভী যা বলে, বদিউল আলমও তাই বলেন।’
আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা ট্রেনে আগুন দিয়েছে, তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। এমনকি অন্যান্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সামনে এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেজন্য আমরা আরো সতর্ক হবো। এখন থেকে আরো কঠোরতার সাথে আমরা বিষয়গুলো দেখব যেন এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না হয়।’
গতকাল (২৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আমরা আর মামুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে’। এইটা নির্বাচনের কোনো সংজ্ঞার মধ্যেই পড়ে না। ব্যাকরণে এটাকে নির্বাচন বলা চলে না। এটা নির্বাচন নির্বাচন খেলা। এমন নির্বাচনে সরকারের লেজিটিমেসি (বৈধতার) সমস্যা আরো ভয়াবহ হবে।’
সুজন সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন যেটা আমরা বলি— আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হচ্ছে দুটো ব্র্যান্ড। বিএনপি যদি না থাকে, এটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায় যে আওয়ামী লীগ চাইলে সব আসনে জিততে পারে। এখন তারা অন্যদের কিছু সিট দেওয়ার জন্য আসন ভাগাভাগি করছে এবং প্রতিযোগিতা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। নিজেদের অনুগত, নিজেদের সৃষ্ট নামসর্বস্ব দলগুলোর সঙ্গে।’