পারভেজ,রাজশাহী: বৃষ্টিতে ফুটবল খেলা খুব প্রচলিত এক আনন্দ। বৃষ্টি নামলেই ফুটবল প্রেমিদের মনে নামে আনন্দের বৃষ্টি। কারণ খেলা হবে। যারা নিয়মিত খেলে না তারাও আজকে খেলবে।
কে কত ভালো খেলে, কে খারাপ খেলে তা দেখার অবকাশ নেই, সবাই জানে আজকে সবাই বৃষ্টিতে খেলবে, মাঠে গড়াগড়ি করবে, গায়ে কাঁদা মাখাবে। নিয়মিত অনিয়মিত সবার এক আনন্দ মেলা হল বৃষ্টির একটি দিন।
আনন্দটা একটু ভিন্ন হয়ে যায় শহর ও গ্রামের মধ্যে। শহরের প্রথম ও প্রধান সমস্যা মাঠ নেই। থাকলেও মাঠে জলাবদ্ধতা। মাঠ একটা খেলার জন্য প্রস্তুত শত শত মানুষ। তাই মাঝে মাঝেই আনন্দটা কমে যায়। কারন মন খুলে নিজের মত দৌড়ানো সম্ভব হয় না। কারন শহরে খেলার জন্য একটি মাঠের কয়েকটি ভাগ হয়। এক দলের খেলাতে অন্য দলের বল চলে আসে। তারপরেও খেলা চলে। শহরে যাদের ভাগ্য খুব ভালো তারা হয়তো মাঠের আশেপাশে একটি পুকুর বা লেক পেয়ে যায়। যেখানে তারা খেলা শেষে গোসলটা সেরে নেয়। সেই এক আনন্দের জোয়ারে গোসল। কারন প্রতিদিন এমনটা হয় না। প্রতিদিন কাটে শহরের যান্ত্রিক ধোঁয়ার মাঝে।
গ্রামে ফুটবলের ব্যাপারটাই আলাদা কারন সেখানে আছে বিশাল মাঠ, মাঠের পাশেই নদী না বড় কোন দিঘি। গ্রামের মাটিটাও শহরের মত দূষিত না। বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধে চলে ফুটবল। আর ওই মাটি টা গায়ে লাগিয়ে আনন্দটাও যে অনেক। এক কথায় গ্রামের ফুটবলের অপর নাম বলা যায় কাঁদায় কুস্তী।
বৃষ্টিতে ফুটবলের সবচেয়ে ভালো দিকটা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ। প্রতিদিনের জীবনে কারো সাথে দেখা হোক আর নাই হোক এই দিনটাতে সবার দেখা হয়। সবাই সকল ঝগড়াবিবাদ ভুলে গিয়ে একসাথে খেলে। ঠিক একটি ইদের দিন, যখন সবাই ইদের নামাজ শেষে একে অপরের সাথে মিলিত হয় ঠিক তেমনি বৃষ্টিতে ফুটবলটাও একই কাজ করে। শহরে যেমন কারো সময় নেই কারো খবর নেয়ার, সর্বোচ্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয় কথা, কিন্তু এই দিনে সবাই যোগাযোগ করে সামনে থেকে, কথা বলে হাত মিলিয়া বা ধাক্কা দিয়ে।
এই সব কিছুর মধ্যেই আছে এক বিশেষ আনন্দ যা আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে পাই না।