নগর খবর ডেস্ক : সকালের দিকে উইকেট কিছুটা ভেজা ছিল, নতুন বলে সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন মারুফ মৃধা। এই পেসারের তাণ্ডবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে ভারতীয় টপ অর্ডার। তবে মিডল অর্ডারে প্রতিরোধ গড়েন মুশের খান ও মুরুগান আভিষেক। এই দুইজনের ফিফটিতে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে ভারত।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪২ ওভার ৪ বলে ১৮৮ রান তুলে অলআউট হয়েছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন আভিষেক। বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মারুফ।
ওয়াইড থেকে অতিরিক্ত রান দিয়ে বল হাতে ইনিংস শুরু করেছিলেন মারুফ মৃধা। এরপর প্রথম বৈধ ডেলিভারীতে ২ রান খরচ করেছেন এই পেসার। তবে পরের বলেই ঘুরে দাঁড়ান তিনি। দুর্দান্ত এই ইনসুইংয়ে পরাস্ত করেন আদার্শকে। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার।
নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আবারও ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানেন মারুফ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি লেগ স্টামের ওপর ফুল লেন্থে করেছিলেন মারুফ। সেখানে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিফ ফাইন লেগে ধরা পড়েন আর্শিন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ রান।
নিজের চতুর্থ আর ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে আরো একবার মারুফ 'শো' দেখেছেন ক্রিকেট ভক্তরা! তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে খানিকটা খাটো লেন্থে করেছিলেন মারুফ। জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন উদয়। ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
এরপর শচিন দাস ও প্রিয়াংশুর ভালো শুরু পেয়েছিলেন। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শচিন ১৬ ও প্রিয়াংশু ১৯ রান করে ফিরেছেন। আরভেলি অভানিষ সাতে নেমে ডাক খেয়ে ফিরলে ৬১ রান তুলতেই শুরুর ৬ উইকেট হারায় ভারত।
এরপর খানিকটা প্রতিরোধ গড়েন মুসের ও আভিষেক। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুইজন মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। মুসের ৫০ রান করে আউট হলে ভাঙে ৮৪ রানের জুটি। আর আভিষেক ফিরেছেন ৬২ রান করে। তার বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকেনি ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার মারুফ মৃধা। তাছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রুহানাতদৌলা বর্ষণ ও শেখ জীবন।