৩১ মার্চ থেকে ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক রেয়াত উঠে যাওয়ার কারণে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা তেলের দাম ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পরিশোধনকারী মিলমালিকেরা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে এ আবেদন করেছেন।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে নুরুল ইসলাম মোল্লা এ আবেদন করেন। প্রস্তাবিত দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৩ টাকা হবে, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৫৭ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
রোজার আগে দাম সহনীয় রাখতে সরকার ভোজ্যতেলের শুল্ক-করে যে রেয়াতি সুবিধা দিয়েছিল, তার মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এখনো জানেন না, সরকার এই অব্যাহতির সুবিধা বাড়াবে কি না। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, যদি ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হয়, তাহলে দাম আগের মতোই থাকবে। কিন্তু শুল্ক-করের রেয়াতি সুবিধা উঠে গেলে আমদানির খরচ বাড়বে, ফলে দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না।
গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ছাড় দেওয়ার পর, সেই সুবিধার মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে শুল্ক-করের সুবিধা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছিল, কিন্তু এনবিআর এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিকুল আতাহার বলেন, "ভোজ্যতেলের ওপর আরোপিত শুল্ক রেয়াত প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরকার শুল্ক রেয়াত অব্যাহতি দিলে ভোজ্যতেলের দাম নতুন করে আর বাড়বে না।"