নগর খবর ডেস্ক : আজ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ শপথ নিয়েছেন। আগামীকাল সন্ধ্যায় মন্ত্রীরা শপথ নিতে পারেন। নতুন মন্ত্রীগণ শপথ নেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান মন্ত্রীরা দায়িত্বে বহাল। বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তাই আগামীকাল সকালে ক্রীড়াঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা করবেন।
ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। এই পুরস্কারের জন্য গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশকৃত তালিকা চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে জাতীয় কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত এই সভা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হলেও আগামীকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। ঐ সভার আগে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণও করবেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
ক্রীড়াবিদ-সংগঠকদের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার এতদিন ছিল দীর্ঘসূত্রিতায়। বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল অনেকটাই হালনাগাদ করেছেন এই পুরস্কার। মাত্র ২০২৪ সাল শুরু হয়েছে তিনি তার মন্ত্রীত্বকালীন সময়ে ২০২৩ সালের পুরস্কার চূড়ান্ত করবেন আগামীকাল। ২০২৩ সালের ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগেই। আবেদন প্রাপ্তি, যাচাই-বাছাইয়ের পর একটি সুপারিশ তালিকা তৈরিও হয়েছে। তালিকা চূড়ান্তকরণ কমিটি একটি সভা করেছে। এরপর নির্বাচনী ব্যস্ততা থাকায় পরবর্তী সভা বিলম্ব হয়েছে। নির্বাচনের পর এবং নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের আগে আগামীকাল একটু সময় পেয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তাই কালই ২০২৩ সালের ক্রীড়া পুরস্কারের তালিকা চূড়ান্ত করতে সভা আহ্বান করেছেন।
মন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই সভার সদস্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব, ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক, বিকেএসপির মহাপরিচালক, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশিদ, বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি শামসুল হক চৌধুরি, সাবেক অ্যাথেলট ও এমপি মাহবুব আরা বেগম গিনি, সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান ও ক্রীড়া সাংবাদিক দিলু খন্দকার।
জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন ২০১৯ সালে। তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল। ২০২২ সালে তার মন্ত্রীত্বকালে ২০১৫-২০২০ সাল পর্যন্ত ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের পরবর্তী দুই বছরের পুরস্কার তালিকা চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত। পুরস্কার প্রদানের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর সময়ের অপেক্ষায় ছিল। নির্বাচনী ব্যস্ততায় প্রধানমন্ত্রীর সময় না পাওয়ায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ’২১-’২২ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের অনুষ্ঠান আয়োজন করেনি। নতুন সরকার গঠনের পর একত্রে তিন (২১-২৩) বছরের পুরস্কার আয়োজনের উদ্যোগ নেবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।