রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুরে অপারেশন ডেভিল হান্টে সাকিব নামে এক অটো চালককে গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
গত ফ্রেবুয়ারী মাসের ১৬ তারিখ রাত দুইটার দিকে উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই অটো চালককে তুলে নিয়ে যায় দূর্গাপুর থানা পুলিশ।
অটোরিকশা চালক সাবিক ওই এলাকার অসহায় ভিক্ষুক লুতফুর আলীর ছেলে।
সাকিবের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামী অটোগাড়ি চালায়। সে প্রতিদিন সকালে অটোগাড়ি নিয়ে রাজশাহী শহরে ভাড়া মারে আর রাতে বাড়িতে আসে। সে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না। কিন্ত গত ফ্রেবুয়ারী মাসে রাতে হঠাৎ করে পুলিশ এসে বলে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে তাই আমাদের সাথে তাকে থানায় যেতে হবে। এরপর তাকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে সকালে থানায় গিয়ে শুনি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি মিথ্যা মালমার সুষ্ঠু বিচার চাই।আমার স্বামীকে কেনো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলো।
সাকিবের বাবা ভিক্ষুক লুৎফর রহমান বলেন, আমি মানুষের কাছে ভিক্ষা করে সংসার চালাই। আমার থাকার জায়গা না থাকায় বাড়িতে শুধু ছেলে থাকে আর আমি সরকারি দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে থাকি। ছেলে যা আয় করে তা দিয়ে দুমুঠো ভালোভাবে খেতে পায়না আর রাজনীতি করাতো দুরের কথা। যারা আমার অসহায় ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন তাদের বিচার দাবি করছি।
স্থানীয়রা জানান, সাকিবের বাবা লুতফর অন্যর দারে দারে ভিক্ষা করে জীবীকা নির্বাহ করেন। থাকেন সরকারি দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে। অপরদিকে সাবিক পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। যা আয় করেন তা দিয়ে কোন রকম চলে সংসার। রাজনীতির সাথে কোন ভাবেই সম্পৃক্ত নয় সাবিক। তবে কেনো সাকিবকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা প্রশ্ন থেকেই যায় স্থানীয়দের মনে।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন , যারা আ.লীগ রাজনীতির সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত তারা দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে তাও তাদের গ্রেপ্তারে কোন ভূমিকা রাখছেনা দূর্গাপুর থানার পুলিশ। তবে একজন সাধারণ অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করা কোন ভাবেই ঠিক হয়নি পুলিশের।
এবিষয়ে দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো দুরুল হদা বলেন, যাকে ধরা হয়েছে সে রাজনীতির সাথে জড়িত। এখন বাঁচার জন্য নিজেকে নির্দোষ বলছে।
মি/তো