নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি)—এর আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি সহ কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের মূলফটকের সামনে সাধারণ ছাত্র জনতা'র ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এসময় মাউশি'র পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি সহ বেশ কিছু কর্মকর্তার অপসারনের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী, কলেজ শাখার সহকারী পরিচালক আলমাচ উদ্দিন, বিধি বহির্ভূত ভাবে এবং মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সমন্বয় এমপিও প্রদানে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সীমাহীন দূর্ণীতি করেছেন। এর প্রমানস্বরুপ তারা বলেন, রহমত ইকবাল ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক (কৃষিবিজ্ঞান) শাহেন শাহ, এই প্রভাষকের কৃষিবিজ্ঞান ডিগ্রির সনদ জাল সনদ হওয়া সত্ত্বেও এবং মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিধি বহির্ভূতভাবে সমন্বয় এমপিও প্রদান করা হয়েছে।
তারা বলেন, জয়পুরহাট মহাবিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক লিপি মন্ডল, নওগাঁর মহাদেবপুর গাঙ্গুরিয়া ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আশরাফ আলী ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মনিরুজ্জামান, নওগাঁ পত্নীতলার কৃষ্ণপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শামীম হোসেন চৌধুরী রাজশাহী কাকনহাট মহিলা কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক নাদিরা খাতুন ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক সাবিহা সুলতানা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিধি বহির্ভূতভাবে সমন্বয় এমপিও প্রদান করা হয়েছে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তারা ।
এ বিষয়ে জানতে চায়লে মাউশি'র পরিচালক ড.বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি বলেন, ২০/২৫ জনের একটি বিশেষ দলের পরিচয় দিয়ে আমাকে নিজ কক্ষ থেকে হয়ে যেতে বলে, পদত্যাগের জন্য চাপসৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে শুরু করে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই মূহুর্তে নিজ কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এমন মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক শাওন, শাহ্ মখদুম থানার বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজশাহী যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, যুবদল নেতা মিলন, পরাগ, পারভেজ, রান্টু, শ্যামল, জীবন, শ্যামল শেখ, জয়নাল আলমাস, বিশাল, রন, রোকন ও পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।