নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছে।
এদিন সন্ধ্যার আগে থেকে নতুন সরকারে নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের গাড়ি প্রবেশ করতে দেখা যায় বঙ্গভবনে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে প্রধানমন্ত্রী, পরে পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেন। এই শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বঙ্গভবনে প্রায় ১ হাজার ৪০০ অতিথিকে দাওয়াত করা হয়।
আজ শপথ নিলেন ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মন্ত্রীরা যেসব দফতর পেলেন:— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়)।
আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১)— মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫) — সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪) — অর্থ মন্ত্রণালয়; আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) — আইন মন্ত্রণালয়।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪)— শিল্প মন্ত্রণালয়; আসাদুজ্জামান খান কামাল (ঢাকা-১২) — স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯) —স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১) —বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭) —পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩) — সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১)—খাদ্য মন্ত্রণালয়; আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯) —পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মো. ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২) —ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩) — গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫) — ভূমি মন্ত্রণালয়; জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) — বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১) —মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪) —কৃষি মন্ত্রণালয়; স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট) —বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডা. সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট) — স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২) — রেলপথ মন্ত্রণালয়; ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১) — জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬) — যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯) —পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯) —শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রীরা হলেন: বেগম সিমিন হোমেন রিমি (গাজীপুর-৪)—মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; নসরুল হামিদ (ঢাকা-৩) —বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী; জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩)—ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ; মোহাম্মদ আলী আরাফাত (ঢাকা-১৭)— তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; মো. মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী-৪)—দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২)—নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়; জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫)—পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি)—পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; বেগম রুমানা আলী (গাজীপুর-৩)— প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; শফিকুর রহমান চৌধুরী (সিলেট-২)—প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; আহসানুল ইসলাম টিটু (টাঙ্গাইল-৬)—বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, স্বতন্ত্র ৬২ এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পায়। একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। আর একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়।