নগর খবর ডেস্ক : প্রিমিয়ার হকি লিগে আজ দলবদলের শেষ দিন। শিরোপা প্রত্যাশী আবাহনী ও মেরিনার্স দলবদল সম্পন্ন করেছে শুরুর দিকেই। আজ শেষ দিনে সবার আকর্ষণ ছিল উষা ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ঘিরে।
বিকেলে উষা ক্রীড়া চক্র দলবদলে আসে সাবেক হকি তারকা রফিকুল ইসলাম কামালের নেতৃত্বে। উষাতে এবার বড় নাম অসীম কুপার গোপ, হাসান জুবায়ের নিলয়। জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় সংখ্যা কম হলেও শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে চায় উষা, ‘আমরা অবশ্যই মোহামেডান, আবাহনী, মেরিনার্সের সঙ্গে শিরোপা লড়াই করব’ বলেন কামাল।
উষা ক্রীড়া চক্রে এবার কোচিং করাবেন আশিকুজ্জামান। আজ ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য আসতে পারেননি। তবে বিদেশি খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়ে শক্তিমত্তা বাড়ানোর পরিকল্পনা উষার, ‘আমরা ভারত ও পাকিস্তান থেকে ভালো মানের বিদেশি আনার চেষ্টা করছি। আমাদের কোচের চাহিদা আর্জেন্টিনার দিকে।’
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে উষার পরিচিত হকি দিয়েই। দলবদলে অংশগ্রহণ না করায় প্রিমিয়ার হকি লিগে ছিল না উষা। গত বছর প্রথম বিভাগ খেলে আবার অর্ধ যুগ প্রিমিয়ারে ফিরছে উষা। তবে এবারের ফেরাটা শিরোপা পুনরুদ্ধারের মতো নয়।
উষার দলবদলের আনুষ্ঠানিকতার পরপরই এসেছে ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান। বাংলাদেশ হকির অন্যতম সুপারস্টার রাসেল মাহমুদ জিমি মোহামেডানের ঘরের ছেলে। ঢাকা আবাহনী সর্বোচ্চ ৯ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়েছেন সেখানে মোহামেডান এর অর্ধেক। এরপরও জিমির চোখ শিরোপার দিকেই, ‘মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই দল গড়ে। আমাদের এই দল শিরোপা জেতার জন্য যথেষ্ট। ’
২০০৪ সাল থেকে লিগ খেলছেন জিমি। বিশ বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র লিগ পেয়েছেন নয়টি। তাই হকি লিগকে ‘ঢাকা অলিম্পিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জিমি বলেন, ‘প্রতি বছর লিগ না হলে খেলোয়াড়দের রুটি-রুজির পাশাপাশি পারফরম্যান্সে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আমরা জাতীয় দল ও সার্ভিসেস সংস্থার বাইরেও অনেক খেলোয়াড় থাকে তারা লিগ না হওয়ায় হকি থেকে হারিয়ে যায়।’
উষা, মোহামেডানের দলবদলের দিনে আলোচনায় সোনালী ব্যাংকও। এই রিপোর্ট পর্যন্ত তারা দলবদলে অংশগ্রহণ করেনি। সোনালী ব্যাংকের বিষয়ে ফেডারেশনের মধ্যে খানিকটা দ্বিধা-বিভক্তি রয়েছে। এক পক্ষের মন্তব্য, আজ দলবদলে অংশগ্রহণ না করায় তারা লিগে অংশগ্রহণ করবে না এটাই ধরা হবে। অন্য দিকে আরেক পক্ষের মন্তব্য, দলবদলের এই সময় মূলত এক ক্লাব থেকে আরেক ক্লাবের খেলোয়াড় আন্তঃবদলের। গত লিগে খেলা সোনালী ব্যাংকের খেলোয়াড় এবং এবার নিবন্ধিত অন্য ক্লাবের খেলোয়াড়ের বাইরে স্থানীয় এবং বিদেশি খেলোয়াড় তারা লিগ শুরুর আগের দিন পর্যন্ত নিতে পারবে।
দলবদল অংশগ্রহণের বিষয়ে তারা কোনো চিঠিও দেয়নি ফলে ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে পারছে না। লিগ কমিটির সম্পাদক খাজা তাহের লতিফ মুন্না বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত তাদের অংশগ্রহণ দেখিনি। এই বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যে লিগ কমিটির সভায় আলোচনা হবে।’