খেজুর শুধু স্বাদে অতুলনীয় নয়, বরং এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অসাধারণ। রোজা ভাঙার সময় স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের পাতে খেজুরের উপস্থিতি অপরিহার্য।
খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও তেল। এটি আয়রনের একটি দারুণ উৎস। আসুন জেনে নিই খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
ফাইবারের উৎস: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে, হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: নিয়মিত খেজুর খেলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে, কারণ এটি হজম শক্তি ও সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন বাড়ায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে।
শক্তির উৎস: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে, যা দ্রুত শক্তি জোগায়। ব্যায়ামের আগে খেজুর খেলে কর্মক্ষমতা বাড়ে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: খেজুর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এলডিএল কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন রোধে সহায়তা করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: খেজুরে প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ: রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। এটি একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রের প্রায় ১১ শতাংশ পূরণ করে।
হাড়ের স্বাস্থ্য: খেজুরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
সতর্কতা: খেজুরে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে, তাই অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞরা দিনে ৩ থেকে ৬টি খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেজুর খাবেন।
সুতরাং, খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা উপভোগ করতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।