স্ট্রাইকিং ফোর্স নামলে প্রার্থীদের অস্থিরতা কমে যাবে : ইসি


নগর খবর ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, নির্বাচনের মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স নেমে গেলে প্রার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা কমে যাবে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনকে শোকজ করেছে অনুসন্ধান কমিটি। এর মধ্যে ১৫০ জন শোকজের উত্তর দিয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। আইন অনুযায়ী প্রথমে শোকজ, পরে মামলা হচ্ছে। এতেও কাজ না হলে অথবা আচরণবিধি লঙ্ঘন চরম পর্যায়ে গেলে তখন প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া, নির্বাচনী মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স নেমে গেলে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বা অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আনসার সদস্যের পাশাপাশি পুলিশের সংখ্যা বেশি থাকে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে সংখ্যাটা কম থাকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে সমস্যা হলে সেগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৪২ হাজার ১৪৯টি কেন্দ্রের মধ্য ১০ হাজার ৩০০টি ঝুঁকিপূর্ণ (অতি গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই লাখ ১৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ৪ লাখ ৭২ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, ৩০০ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে।
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অস্ত্রধারী দুইজন পুলিশ, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী একজন আনসার, ১০ জন আনসার, লাঠি হাতে একজন বা দুইজন গ্রামপুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল সব সাধারণ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে।
তবে, প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের ক্ষেত্রে (যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত) অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশসহ ১৬-১৭ জনের একটি দল থাকবে।
মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরের সব ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ১৫ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল। যার মধ্যে অস্ত্রধারী তিনজন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী আরেকজন আনসার এবং ১০ জন আনসার সদস্যের দল প্রতি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
তবে, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হলে ১৬ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পাহারা দেবে এবং অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য সংখ্যা তিনজনের পরিবর্তে চারজন হবে।