চাঁদে গিয়ে নিজের কণ্ঠস্বরও শুনতে পান না নভোচারী, কিন্তু কেন?
নগর খবর ডেস্ক : পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ হলো চাঁদ। এই উপগ্রহটি নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। ইতোমধ্যে চাঁদের মাটিতে পা ছুঁয়েছে মানুষ। পৃথিবীতে আমরা খুব সহজেই একে অন্যের কথা শুনতে পাই। তবে চাঁদে গিয়ে অন্যের কথা তো দূরের কথা, নিজের কণ্ঠস্বরও শোনা যায় না। চাঁদে কেন এটি সম্ভব নয়?
তবে এর পেছনেও অভিকর্ষ বা মহাকর্ষ বল কাজ করছে? সঙ্গে সঙ্গে মনের ভেতর প্রশ্ন উঠবে যে, কেন শব্দের ক্ষেত্রে আকর্ষণ বলের কথা উঠছে। বস্তুর ‘ভর’ না বদলালেও, ‘ভার’ বদলায় এত আমাদের জানা কথা, তবে কী কারণ লুকিয়ে আছে? চাঁদে কেন কোনো কথা বা শব্দ শোনা সম্ভব নয়?
আসলে পৃথিবীতে আমরা একে অন্যের কণ্ঠস্বর শুনতে পাই, কারণ এখানে বায়ু এবং গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে। যার মাধ্যমে (বায়ু মাধ্যম) শব্দ আমাদের কানে এসে পৌঁছায় এবং একজনের বলা কথা অন্য ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যায়।
শব্দ মূলত কম্পন থেকে উৎপত্তি হয়। আর তা, বায়ু মাধ্যমে তরঙ্গ আকার নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করে। কিন্তু বায়ুমণ্ডলের চাপ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় চাপের তুলনায় ১০ কোটি কোটি গুণ কম। এছাড়া, সেখানে কোনো গ্যাসের উপস্থিত নেই। তাই সেখানে কারো কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায় না। কারণ সেখানে শব্দ পৌঁছায় না। আর সে কারণেই চাঁদে গিয়ে নিজের কণ্ঠস্বরও শুনতে পান না নভোচারীরা।