৩৮ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি
একাদশ শ্রেণিতে উপবৃত্তি পাওয়ার শর্ত কিছুটা শিথিল হয়েছে। এজন্য আগে পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশ নম্বর প্রয়োজন হতো। তবে এখন থেকে কোনো শিক্ষার্থী ৩৮ শতাংশ নম্বর পেলেই উপবৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন। যদিও শ্রেণীকক্ষে বছরে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতির শর্ত আগের মতোই রয়েছে। আর বিয়ে করা শিক্ষার্থীরা সরকারি এ সুবিধার অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অযোগ্য শিক্ষার্থীদের এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিষ্ক্রিয় করতে বলেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এ কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নন এমন শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিষ্ক্রিয় করতে হবে। বিষয়টি জানিয়ে সব উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি।
শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিষ্ক্রিয় করার নিয়মও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে (https://hsp.pmeat.gov.bd/HSP-MIS/login) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মেন্যুবারে ‘উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘শিক্ষার্থী স্ট্যাটাস পরিবর্তন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘খুঁজুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার যেসব শিক্ষার্থী অযোগ্য তাদের ‘সম্পাদন’ (কলম আইকন) বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার ‘শিক্ষার্থীর বর্তমান স্ট্যাটাস’ অপশনে ড্রপডাউন বক্সে ‘নিষ্ক্রিয়’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এরপর স্ট্যাটাস পরিবর্তনের কারণ, যেমন ৩৮ শতাংশের নিচে নম্বর পাওয়া, ৭৫ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিতি, একাডেমিক স্তর অতিক্রম, বিয়ে বা ইত্যাদি এক বা একাধিক কারণ উল্লেখ করতে হবে। পরে মন্তব্যের ঘরে নিষ্ক্রিয়করণের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে। সবশেষে ‘সংরক্ষণ’ বাটনে ক্লিক করলে সফল মেসেজ প্রদর্শিত হবে।
সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি সূত্র জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে অযোগ্য শিক্ষার্থীদের নিষ্ক্রিয়করণের বিষয়টি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা উপজেলা-থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা অন্য কোনো কারণে এইচএসপি-এমআইএসে লগইন করতে না পারলে ‘পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন’ লেখা অংশে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বা উপজেলা-থানা শিক্ষা কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠানোর মাধ্যমে পাসওয়ার্ড পুনঃস্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা উপজেলা-থানা শিক্ষা কর্মকর্তার এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে দেয়া ইউজার প্রোফাইলের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য হালনাগাদ থাকতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় পাসওয়ার্ড বদলাতে না পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্যাডে প্রতিষ্ঠান প্রধানের লিখিত আবেদন উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তারা মধ্যে ইমেইলে ([email protected]) সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচিতে পাঠিয়ে পাসওয়ার্ড বদলানো যাবে।
এর আগে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ ও সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সমাপনী পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশের নিচে নম্বর পেতেন, বছরে গড়ে যাদের ৭৫ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিত থাকতেন, শেষ একাডেমিক স্তর অষ্টম, দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি অতিক্রম করতেন, যাদের বিয়ে হয়ে যেতো বা যারা পড়ালেখা ছেড়ে দিতেন তারা উপবৃত্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হতেন।