টাকা নিয়ে তথ্য গোপন করে জাতীয় করন না করার অভিযোগ প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম এর বিরুদ্ধে
তথ্য গোপন করার কারণে সরকারি করণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার এস এস হাই স্কুল এন্ড টেকনিক্যাল কলেজ। এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন দপ্তরে ওই বিদ্যালয়ের সংযুক্ত টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।
গত বুধবার বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করে বলেন ২০১৬ সাল বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারীকরণের ঘোষ না আসলে হাতীবান্ধা উপজেলার একমাত্র স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এস এস হাই স্কুল এন্ড টেকনিক্যাল কলেজের নাম প্রস্তাব করা হয় সে সময় বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসলে পরিদর্শন টিমকে তথ্য গোপন করে শুধুমাত্র এস এস উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এস এস উচ্চ বিদ্যালয় এর সঙ্গে বিএমটি টেকনিক্যাল কলেজটির নাম গোপন রাখা হয়। এমন অভিযোগ করেছেন টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ ।
তবে এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান বলেন ওই সময়ে সরকারীকরণের জন্য যে বিটিম এসেছিল তাদের ফর্মে টেকনিক্যাল কলেজের সরকারীকরণের কোন ধরনের অপশন ছিল না তাই সকল ধরনের চেষ্টা করেও টেকনিক্যাল কলেজটিকে সরকারীকরণের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা এস এস হাই স্কুল এন্ড টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম হিরো বলেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম তথ্য গোপন করার পাশাপাশি বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করেছেন আমরা এর সুষ্ট তদন্ত ও তার সুবিচার দাবী করছি। অভিযোগে বিএমটি শাখার শিক্ষকগণ দাবি করে বলেন ২০১৬ সালে বিএমটি শাখাটি জাতীয়করণ করার জন্য ১৬ জন শিক্ষক কর্মচারীর কাছ থেকে ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চাপ দিয়ে বুঝে নেন প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান।
পরবর্তীতে বিএমটি শাখা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র এস এস উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারীকরণের গেজেট প্রকাশ হলে উক্ত বিএমি শাখাটি সরকারি করন থেকে বঞ্চিত হয় পরবর্তীতে এ বিষয়ে রেজাল্ট করিম প্রধানের কাছে বিমটি শাখার শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল করিম প্রধান বিভিন্নভাবে বিএমিটি শাখার শিক্ষকদের চাকরি থেকেবহিস্কার করার হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয় আরো বলেন কোন শিক্ষক কর্মচারী যাতে কোন ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিতে না পারেন এজন্য আ”লীগ সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুসহ তিনি ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেন। অভিযোগ সূত্রে সংযুক্ত কাগজপত্রে দেখা যায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধানের দুর্নীতির চিত্র ভর্তি ও পরিক্ষার ফরম পুরনে সরকারি নিয়ম নীতির বাইরে অর্থ গ্রহণ করা হয় ও মাসিক বেতন অতিরিক্ত নেওয়া হয়
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করা হরে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হরে।