বিদায়ী বক্তব্যে অঝোরে কাঁদলেন রকি কুমার ঘোষ


রাজশাহী নগর ডেস্কঃ যার যোগ্যতা থাকবে সেই রাজশাহী মহানগরের সভাপতি সেক্রেটারি নির্বাচন হবে। আবেগ প্রবণ বিদায়ী বক্তব্য প্রদানকালে রাজশাহী মহানগরের সভাপতি রাকি কুমার ঘোষ এই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি আর আমার সেক্রেটারি যতো টুকু সাফল্য অর্জন করেছি, সব আপনাদের দিলাম এবং সকল ব্যর্থতা আমরা মাথা পেতে নিলাম।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে মহানগর ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী কলেজ চত্বরে সমাবেশ হয়।
শীর্ষ দুই পদ প্রত্যাশী নেতাদের সমর্থকদের মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী কলেজ চত্বর।
সম্মেলনের উদ্বোধন হিসেবে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডাক্তার আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা প্রমুখ।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তৃতায় আল নাহিয়ান জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন। তারা কেন্দ্রীয় হতে তৃণমূল পর্যন্ত সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবন্ধ। কোন বিশৃঙ্কলাকারীর স্থান বাংলাদেশ ছাত্রলীগে নেই।তিনি আরো বলেন, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি ছাত্রলীগের করোনার মহাদূর্যোগে সেবার কথা উল্লেখ করে বলেন,আমরা ছাত্রলীগ সেই সময়ে মেহানতী মানুষের ঘরে ঘরে শেখ হাসিনার উপহার প্রতিটি ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিয়েছি।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগর সম্মেলনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথির বক্তৃায় তিনি বলেন,রাতের অন্ধকারে রাস্তায় বাস-ট্রাক পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, ড্রাইভার মারা গেছে, রাস্তায় গাছ ফেলে নাশকতা করেছে সেই সময়ে রাজশাহী ছাত্রলীগ মোকাবেলা করেছে। আমি ছাত্র্রলীগ করতে পারিনি তবে আমি ছাত্রলীগের ইতিহাস জানি। যারা ইতিহাস জানে তারা কখনই ছাত্রলীগকে ছোট করতে পারে না।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগর সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা বলেন, আমার পিতা আমাকে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি করতে পারেতো। কিন্তু তিনি আত্নীয়করণ করেনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে পরিবারের আত্নীয়তা আছে পারিবিারিক ভাবে। তবুও আমার পিতা রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রু্জজামান লিটন সেইটি করেননি।
মহানগর ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য প্রদান করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে বেশ কয়েকজন প্রত্যাশী রয়েছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগের পতাকাকে উড্ডীয়ন করে ধরে রাখতে পারবে, যারা ক্লিন ইমেজের সর্বোপরি যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে আমরা তাদের হাতেই রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের দায়িত্ব অর্পন করবো।