চঞ্চল চৌধুরীর আক্ষেপ


পর্দায় চঞ্চল চৌধুরী মানেই ভিন্ন কিছু। ভিন্ন চরিত্রে নতুন লুকে নিজেকে উপস্থাপন করতে বেশ পটু এ অভিনেতা। যার প্রমাণ এর আগে তার ভক্তরা পেয়েছে। এবার গোলাম সোহরাব দোদুলের পরিচালনায় ‘ডার্করুম’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। এরই মধ্যে তার লুক নিয়ে নেটদুনিয়ায় বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে।
চঞ্চল নিজেও তার ফেসবুকে লম্বার স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কথা বলেছেন যে কোনো চরিত্রের লুক এবং গেটআপ নিয়ে। স্ট্যাটাসে চঞ্চল লিখেছেন, ‘যে কোনো চরিত্রের লুক বা গেটআপ, অভিনয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। লুক যদি ঠিকঠাক হয়, আর অভিনয় যদি লুকের সঙ্গে খাপ খেয়ে যায়, তাহলেই চরিত্রটাকে দর্শক বিশ্বাস করে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের খুবই দুর্ভাগ্য। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েকটা সেক্টরের মতো, মেকআপ সেক্টরটা অবহেলিত। ভালো লুক বা গেটআপ দেয়ার মতো ভালো মেকআপ আর্টিস্টের অনেক অভাব। এই কাজের জন্য বাজেটও খুব কম থাকে। বড় বাজেটের কাজের সময় মাঝেমধ্যে, দেশের বাইরে থেকে মেকআপ আর্টিস্ট আনা হয়। কিন্তু আমাদের রেগুলার কাজে, গড় পড়তা বাজেট আর গোঁজামিল দিয়েই কোনোমতে শেষ করা হয়। এভাবেই চলছে।’
চরিত্রের বিশ্বাস যোগ্য মেকআপ বা গেটআপ না হলে অভিনয় ঠিকঠাক হবে না উল্লেখ করে মনপুরাখ্যাত এ অভিনেতা আরও লেখেন, ‘দর্শকও তখন চরিত্র বা গল্পটাকে গ্রহণ করবে না। আমার পেটে চারুকলার বিদ্যা যোগ হওয়ার কারণে, একটু ভিন্ন লুকের চরিত্র পেলেই, ডিরেক্টরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে, মেকআপ ম্যানের সহকারী হয়ে, মোটামুটিভাবে চরিত্রের লুকটা আদায় করে নেই। অনলাইনের এই যুগে সঠিক কাজ করার লোকের চেয়ে, ভুল ধরার লোকের সংখ্যা কোটি গুণ বেশি। যদিও আমার কথাটি কোনো এক্সকিউজের জন্য বলছি না। তারপরেও আপনারা শুধু দর্শক হিসেবে একবার ভাবুন, বাইরের দেশের যেসব কাজের সঙ্গে আমাদের কাজকে তুলনা করে, অধিকাংশ সময় ছুড়ে ফেলে দেন, খেয়াল করে দেখবেন, ওদের সঙ্গে আমাদের বাজেটের পার্থক্য, টেকনিক্যাল পার্থক্য এবং পেশাদারিত্বের পার্থক্য কতটা!’.
লম্বা স্ট্যাটাসে শেষে চঞ্চল চৌধুরী লেখেন, ‘কতটা সীমাবদ্ধতার ভেতর দিয়ে আমরা কাজ করি, আপনারা অনেকেই সেটা ভাবতেও পারবেন না। তারপরেও আমরা আমাদের কাজগুলো করে চলি ভালোবাসায় আর নেশায়। ওই যে কথায় আছে, নাই মামার চেয়ে, কানা মামা ভালো। আপনারা সঙ্গে থাকলে দেখবেন, একদিন আমরাও…।’