খবরশিক্ষা খবর

ফল প্রকাশের আগেই খাতা বিক্রি করেছে আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়

নগরখবর ডেস্ক : শুধু প্রশ্নফাঁসই নয়, ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শেষ করার আগেই খাতা বিক্রি। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় এমন নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। লাখো প্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান খোদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।

গত ৬ নভেম্বর পাঁচটি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হলে সামনে আসে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। গ্রেপ্তার হন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল। নিয়োগ পরীক্ষা কমিটির সভাপতি আমান উল্লাহ জানালেন কীভাবে প্রশ্ন গেল মুক্তারের হাতে।

তিনি বলেন, আমাদের এখানকার ইন্টারনেটের বিষয়গুলো মূলত সেই দেখাশোনা করত। অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা হলে তাকে দিয়েই সমাধান করাতাম। সে এসবের অপব্যবহার করেছে।

স্বীকার করলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় মনিটরিং করা হয়নি তথ্যপ্রযুক্তির নানা ফাঁকফোকর। তবে খাতা খোয়া যাওয়ার ঘটনায় তৎকালীন কমিটির অদক্ষতাকে দায়ী করলেন বর্তমান পরিচালক।গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, শুধু টেকনিশিয়ান রয়েলই নন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এসবের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। প্রায় ৬০ কোটি টাকার মতো লেনদেনের তথ্য আমরা প্রাথমিকভাবেই পেয়েছি।

এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংক আর কোনো পরীক্ষা নেবে না এ সিদ্ধান্তে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। তারা বলেন, জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নোটিশের জবাব পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদেরকে তলব করেছি। ১৪ তারিখের মধ্যে তারা ব্যাখা দেবে। এরপর আমরা ব্যবস্থা নেব। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংককে নোটিশের জবাব দেওয়ার কথা রয়েছে আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

আরো দেখুন

সম্পরকিত খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button