তথ্যপ্রযুক্তিঃ ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ‘ইউটিউব’-এ ঘুরে বেড়াচ্ছে লাখ লাখ ভিডিও। তার মধ্যে যেটা পছন্দ, তাতে ‘লাইক’ দেন দর্শকরা। আবার অপছন্দের ভিডিওতে ‘ডিসলাইক’-এর বিকল্পও খোলা। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ভার্চ্যুয়াল দুনিয়া এর মধ্যেই এগিয়ে গিয়েছে অনেকটা পথ। অপছন্দের বিষয়বস্তুকে একযোগে ‘ডিসলাইক’ দিতে দেশে দেশে তৈরি হয়ে গিয়েছে ট্রোল বাহিনী। ‘ইউটিউব’-এর দাবি, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্বাধীন বিষয়বস্তুর নির্মাতারা। এ কারণেই নিয়মে বদল। নেটমাধ্যমের গতিপ্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করেন, এমন ব্যক্তিদের একটি অংশের দাবি, ইদেনিং কোনো বিষয়ে আপত্তি জানানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে ‘ইউটিউব’-এ ‘ডিসলাইক’ বোতাম। সংগঠিতভাবে ধারাবাহিক ‘ডিসলাইক’ দেওয়ার প্রবণতা রুখতেই নতুন পদক্ষেপ।
ভিডিও স্ট্রিমিং মাধ্যমে ইউটিউব বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এবার থেকে চরিত্র বদলে যাচ্ছে ওই স্ট্রিমিং মঞ্চে থাকা ‘ডিসলাইক’ বা অপছন্দের বোতামের। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ভিডিও দর্শকরা ‘ডিসলাইক’ করতে পারবেন ঠিকই, কিন্তু কত জন ‘ডিসলাইক’ করলেন তা এক মাত্র জানতে পারবেন ওই ভিডিও নির্মাতা। নতুন নিয়মের মূল উদ্দেশ্য, সংগঠিত ট্রোল-বাহিনীর হাত থেকে ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের বাঁচানো।
‘ইউটিউব’ জানাচ্ছে, আগে যেমন ‘ডিসলাইক’ বোতাম থাকত, এখনও তেমনই থাকবে। শুধু কতজন ‘ডিসলাইক’ করছেন, তা জানতে পারবেন না দর্শকরা। তা কেবল দেখতে পারবেন ভিডিও নির্মাতা নিজে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এভাবে কি স্বাধীন বিষয়বস্তুর নির্মাতাদের মনোবল বাড়ানো যাবে? কারণ যে ভিডিওর মাধ্যমে ‘ইউটিউব’ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, তাতেই ‘ডিসলাইক’ পড়েছে ৫৩ হাজারের বেশি!
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
প্রিয় পাঠক, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, nogorkhobor@gmail.com ঠিকানায়। অথবা যুক্ত হতে পারেন NogorKhobor আমাদের ফেসবুক পেজে। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।