৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাসল শতাধিক লাল-সুবজ রঙের কাগজের নৌকা


৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে লাল-সবুজ রঙের শতাধিক কাগজের নৌকা ভাসাল নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙর বাংলাদেশ। সংগঠনটি জানায়, নৌকা ভাসিয়ে ৭ মার্চে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসা সব শ্রোতাকে স্মরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুসহ যারা দেশের জন্য আত্মদান করেছেন তাদের জন্য হাজার নদী ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা জানাতে স্বাধীনতা সরোবরে কাগজের নৌকা ভাসানো হয়।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত সরোবরে এই কর্মসূচির পালন করা হয়।
কর্মসূচি থেকে সোহরওার্দী উদ্যানকে ‘স্বাধীনতা উদ্যান’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
স্বাধীনতা উদ্যান ঘোষণার দাবির প্রতি যুক্তি দেখিয়ে সংগঠনের নেতারা বলেন, যে উদ্যান থেকে স্বাধীনতার ডাক এসেছে, সেই উদ্যানেই পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছে। এমন মাঠ বিশ্বের আর কোথাও নেই। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি এই মাঠে তাই স্বাধীনতার কথা স্বরণ করতে এটিকে স্বাধীনতা উদ্যান ঘোষণার দাবি যোক্তিক।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নোঙরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফজলে সাধন, আলী শান্ত, আমিনুল হক চৌধুরী, বাহারুল ইসলাম টিটু প্রমুখ।
এ সময় নোঙর এর সভাপতি সুমন শামস বলেন, এই সেই উদ্যান যেখান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা এসেছিল। তাই আমাদের দাবি এই উদ্যানটিকে স্বাধীনতা উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তাহলে সেদিন বঙ্গবন্ধুর জ্বালাময়ি সেই ভাষণ যারা সরাসরি শুনেছিলেন এবং এখনো যারা একুশের বইমেলায় আসছেন তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা এই উদ্ধান এবং বঙ্গবন্ধুর যে সম্পর্ক সেসব বিষয়ে জানতে পারবে। আগামী প্রজন্ম যখন যখন এই উদ্যানে আসবে তাদের মাথায় এটি কাজ করবে, স্বাধীনতা কিভাবে এলো। এসব কিছু মাথায় রেখে স্বাধীনতা সরোবরে নৌকা ভাসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময়ে উপস্থিত নেতারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব কতটা তা ভাষণটি শুনলেই বোঝা যায়। এটি একমাত্র ভাষণ যেটি শুনলে আবারো যুদ্ধের বাসনা জাগে। এখনো মনে হয় বঙ্গবন্ধু আমাদের মুজিব ভাই এই বুঝি কিছুক্ষণ আগে বলছেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।