বাজারে তালের শাসের কদর


‘ঐ দেখা যায় তাল গাছ, ঐ আমাদের গাঁ, ঐ খানেতে বাস করে কানা বগির ছা।’ গাঁয়ে এখন বকের ছানা থাক বা না থাক, তালগাছগুলো কিন্তু কচি তালে ভরে গেছে। গ্রামগঞ্জ হয়ে তাল এখন শহরের অলিগলিতে মেলে।
তালের শাঁস খাওয়ার এখনই সময়। অনেক ফল যখন ফরমালিনের বিষে নীল, অন্যদিকে তালের শাঁসে ফরমালিনের ছোঁয়া লাগেনি। নিশ্চিত করে বলছি কারণ, দীর্ঘদিন তাল রেখে দিলেও নষ্ট হয় না। এই তালের শাঁসে কী কী গুণাগুণ আছে, জানতে চাইলে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টি ও পথ্যবিদ আখতারুন নাহার বলেন, ১০০ গ্রামের একটি তালের শাঁসের ৯২ দশমিক ৩ শতাংশই থাকে জলীয় অংশ, ক্যালরি থাকে ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪ মিলিগ্রাম। শারীরবৃত্তীয় কাজে অংশ নেওয়া এই তালশাঁস কতটা উপকারী, তা জেনে নেওয়া যাক।
এর বেশির ভাগ অংশ জলীয়। ফলে শরীরের পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে দ্রুত শরীর পানি হারায়, সেটিও পূরণ করতে পারে।
শরীরকে দ্রুত শীতল করে তালশাঁস।
এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
তালশাঁস শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এমনকি ক্ষয় হয়ে গেলে তা পূরণ করে।
তারুণ্য ধরে রাখে।
এতে চিনির পরিমাণ অতি অল্প মাত্রায় থাকে।
তালশাঁস ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়।
হাড় গঠনে যেমন সহায়তা করে, হাড়ের রোগ প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে।
সুস্থ দাঁতের নিশ্চয়তাও দেয় তালশাঁস।
এ ছাড়া তালশাঁস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দেয়।