রাজশাহীজুড়ে সম্পদের পাহাড় দিহানের বাবার

রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত দিহানের বাবা আব্দুর রউফ সরকার ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার। আর মা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে ঘনিষ্ঠতা ছিল তারেক রহমানের সঙ্গে। এমন তথ্য জানায় প্রতিবেশীরা। পৈতৃক জমি সম্পত্তি বাদেই গড়েছেন দেড়শো বিঘারও বেশি সম্পত্তি। সঙ্গে রয়েছে রাজশাহী শহরের অভিজাত দুই এলাকায় দুটি ভবন। পরিবারটির বহুমুখী প্রভাবে এ নিয়ে মুখ খুলতেও ভীত গ্রামবাসী।
রাজশাহীর দুর্গাপুর রাতুগ্রামের বাসিন্দা রাজধানীর কলাবাগানে শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত দিহানের বাবা আব্দুর রউফ সরকার। ঠাকুরগাঁ ও রাজশাহীতে জেলা রেজিস্ট্রারের দায়িত্বপালন শেষে ২০০৯ সালে অবসর নেন। পৈতৃক সম্পত্তি ছাড়াও চাকরিকালীন দুর্গাপুরের কিসমত গণকৈড়, পুঠিয়ার তাহেরপুর, নওগাঁর আত্রাইসহ বিভিন্ন স্থানে কেনেন জমি। ভূমি অফিসের তথ্য মতে, শুধুমাত্র রাতুগ্রাম মোজায় আছে ৭৮ বিঘা জমি। আছে পুকুর, ফসলি জমিসহ গ্রামের আলিশান বাড়ি। পাশাপাশি রাজশাহী নগরীর পদ্মা আবাসিক, সাগরপাড়ায় কেনেন জমিসহ দুটি ভবন।
গ্রামের লোকদের অভিযোগ দিহানের মা বগুড়ার মেয়ে শিল্পী বেগমের ঘনিষ্ঠতা ছিলো বিএনপির তারেক রহমানের সাথে। তার প্রভাব খাটিয়েও করেন অনেক সম্পদ। তবে দিহানের বড়ভাই সুপ্তের ভয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে চাননি অনেকে।
এলাকাবাসী জানান, তারা মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। কিন্তু তাদের চরিত্র ভালো নয়। এছাড়াও গরীব মানুষদের মামলা ও মোকদ্দমা নিয়ে ফাঁদে ফেলেন।
এ নিয়ে খোঁজ নিতে রাতুগ্রামে আব্দুর রউফ সরকারের বাড়ি গেলে তা তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরে মুঠোফোনে তিনি বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করেই শহরে বাড়ি করেছেন তিনি। এলাকায় স্ত্রীর বিএনপির রাজনীতির প্রভাব খাটানোর কথা অস্বীকারও করেন তিনি।
সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার দিহানের বাবা আব্দুর রউফ সরকার বলেন, আমার তো পৈত্রিক সম্পত্তি আছে। সেগুলো বিক্রি করে রাজশাহী নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় বাড়ি করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করতাম। আমার ওয়াইফ কীভাবে বিএনপি করে?
গ্রামবাসীরা জানায়, বড় ছেলে সুপ্ত মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় তাকে সুস্থ করতে রাতুগ্রামের বাড়িতে থাকেন আব্দুর রউফ।
আরো দেখুন

সম্পরকিত খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button