প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পরবর্তী অভিজ্ঞতা বর্ণনা ও মতবিনিয়ম সভা


নিজস্ব প্রতিবেদন: উন্নয়নের মূলধারায় প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পরবর্তী অভিজ্ঞতা বর্ণনা ও মতবিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনজিও সংস্থা এডিডি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে ও এফসিডি/ইউকে এইডের অর্থায়নের প্রকল্প শেষে এক সমীক্ষায় জানানো হয়, ৫০ জনের মধ্যে ৪৮ জন অর্থাৎ ৯৬% শতাংশ প্রশিক্ষণার্থী আয় মূলক কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন প্রশিক্ষকের প্রতিষ্ঠানে বেতনভূক্ত কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ৮ জন প্রতিবন্ধী ইতিমধ্যে সেচ্ছায় উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। প্রতি মাসে এসকল প্রশিক্ষণার্থীর আয় গড়ে ৩ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত মতিবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনা) আনিসুর রহমান।
এসময় তিনি এসকল প্রতিভাবান সুবিধাবঞ্চিত অটিস্টিক তরুন-তরুনীদের উদ্দেশ্য বলেন, প্রতিবন্ধিরা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বিশাল এ অনানুষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হলে একদিকে যেমন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি মূলস্রোতধারায় ক্ষমতায়নের সুযোগ পাবেন। দেশের বেকারত্বের হার কমে আসবে। পরনির্ভরশীলতার হার কমে আসবে। পারিবারিক আয় বৃদ্ধি পাবে। এগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ এটিএম গোলাম মাহবুব, টিটিসির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম ইমদাদুল হক, মহিলা টিটিসির চিফ ইন্সটাকটর আরিফুর রহমান, রজনীগন্ধা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল, প্রতিবন্ধী স্ব-নির্ভর সংস্থার সভাপতি মোমিনুল ইসলাম, প্রত্যয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি তাহেরা খাতুনসহ প্রকল্পে অংশগ্রহণ প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থী ও অভিভাবক।