ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহীতে


নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ধর্মীয় সম্পীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মংগলবার (১৪ মার্চ) বেলা ১১ টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সংলাপে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সংলাপে সিটি মেয়র বলেন, এর আগেও রাজশাহীতে এমন আন্তঃধর্ম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা দেখি সকল ধর্মই কিন্তু মানুষের সেবা ও ভালো কাজের কথা বলে, কোন ধর্মই অপরাধ কাজ করা থেকে বিরত থাকার কথা বলে। তাহলে বিভেদ সৃষ্টি করছে কারা? আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালে দেখছি যে, একধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি জুলুম করছে, নির্যাচন করছে। তাহলে ধর্মীয় চেতনা কোথায় থাকছে। এর প্রতিবাদ কেন কেউ করছে না, আমাদের মাঝে ধর্মীয় সম্পীতি বিরাজ করছে না। প্রতিবেশীরা একে অপরের বিপদে আপদে খোঁজ রাখছি না। আমরা বাংগালী, আমরা সকল ধর্ম, বর্ণ, আদিবাসী সম্প্রদায় সবাইকে নিয়েই আমাদের এই দেশ। এই সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। দেশের উন্নয়নে সবার অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনা প্রয়োজন। সাম্প্রদায়িক শান্তির কথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বলে গেছেন, কাজ করে গেছেন। আমরা আমাদের যে দেশ সবাই মিলে স্বাধীন করেছি সেই দেশে যেন সবাই সাম্প্রদায়িক শান্তি বজায় রেখে বসবাস করতে পারি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মডেল মসজিদ সহ অন্যান্য কাজ করা হচ্ছে। আজ অনেক কথা উঠে এসেছে। ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ প্রতিটি ধর্মেই মানব কল্যাণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। কোন অপ্রিতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত কাজকে কোন ধর্মই সমর্থন করে নাই। আমরা যদি ছোট থেকেই বাচ্চাদের এই ধর্ম সম্পর্কিত জ্ঞান দিতে পারি তাহলে তারা কোন রকম সাম্প্রতিক সংঘাতে জড়াবে না। বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনায় বিশ্বাসী বলে আমি মনে করি। আমরা স্ব স্ব জায়গায় থেকে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছি বিধায় এটা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় সংলাপে অংশ নেন রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যানবৃগণ সহ সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।