বাঘায় তরুনকে পেটানোর ঘটনায় আদালতে মামলা, তদন্তভার ডিবিতে হস্তান্তর


নিজস্ব প্রতিবেদক : গত (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার একাডেমি স্কুলের সামনে বন্ধু পরিচয়ে পরিকল্পিত ভাবে কাউছার মোল্লা (১৬) নামের এক তরুনকে ফোন কলের মাধ্যমে ডেকে, অভিযুক্ত কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী যুবক, ভুক্তভোগী ওই তরুনকে এলোপাথারি মারধর ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটির তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী তরুন কাউছার মোল্লা‘র (১৬) মা মোছা: বুলবুলি বেগম (৩৭) গত (২৭ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বাঘা জিরোপয়েন্ট এলাকার মৃত. আব্দুল মুসার ছেলে মো: ইয়ামিন (২২), ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা লায়েব উদ্দীল লাবু‘র ছেলে মো: রাব্বি হোসেন (২২), দক্ষিনপাড়া এলাকার মো: রহমানের ছেলে মো: রাতুল হোসেনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরও ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত না হওয়ায় ভুক্তভোগী রাজশাহীর আদালতে গিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে, আদালত কতৃক ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্তের সার্থে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত (২৩ এপ্রিল) রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় অভিযোগকারীর ছেলে কাওছার মোল্লাকে মুঠোফোনে কল করে বাঘা একাডেমি স্কুলে ডাকে স্থানীয় যুবক মো: ইয়ামিন। ভুক্তোভোগী তরুন ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা অভিযুক্ত বখাটে যুবকরা তাকে (কাউছার) এলোপাথারি ভাবে লাঠি, রড ও লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এরপর ভুক্তভোগী ওই তরুনের গলায় থাকা ২ভরি ২আনা স্বর্ণের চেইনও কেড়ে নেওয়া হয়।
এবিষয়ে কাউছার মোল্লা বলেন, আমাকে মারার পর স্থানীয়রা আমাকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর আমার পরিবার আমাকে রাজশাহী পাঠিয়ে দেয়। এখানেও আমি রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা নিই। রাজশাহী আসার পর আমাকে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ফোন করে মামলা না করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমার পরিবারের সদস্যরা এই হুমকি ধামকির ফলে ভীত হয়ে পড়ে। আমার এখন বাঘা যাওয়া অনিশ্চিত। বাধ্য হয়ে মা গত (২৭ এপ্রিল) বাঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এবং আমার সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের আমি বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর দুলাভাই শাহিদ জামান বলেন বলেন,মামলা করার জন্য গত ১০ মে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হয় এবং অমাকে বলা হয় আমরা যেন মামলা তুলেনি ।
এবিষয়ে, সঠিক তদন্তপূর্বক বিচারের জন্য রাজশাহী আদালতে একটি মামলা করা হলে ঘটনাটির তদন্তভার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।