কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাৎ মামলায়


বিদেশে লোক পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ মামলায় চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন ময়েনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত মঈন উদ্দীন ময়েন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে নামঞ্জুর করে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ দিলে সন্ধ্যায় তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইনে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয় আদালত এ মাসের ২৪ জানুয়ারি। বিদেশে লোক পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ মামলায় আদালত মঈন উদ্দীনের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মঈন উদ্দীন ময়েন জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে, জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জীবননগর উপজেলা যুবদলের সভাপতি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সালাউদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ভালো বেতনের লোভ দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় ময়েন। বিদেশে পাঠানোর নাম করে দু’দফায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চেয়ারম্যান। কিন্তু আলমগীরকে বিদেশে না পাঠিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা শুরু করেন ময়েন। এক পর্যায়ে আলমগীরের ভাই মিজানুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান ময়েনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ৩০ মে দাখিলকৃত ওই মামলায় ময়েনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দামুড়হুদা থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস। আদালত ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে মঈন উদ্দীনের অনুপস্থিতিতে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার দু’দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে সাজা প্রাপ্ত মঈন উদ্দীন ময়েন চুয়াডাঙ্গা চীফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান। সন্ধ্যায় ময়েনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়েছে।