অনুতপ্ত হয়ে তওবা করার সুফল


একটি হাদিসে রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘যে লোক দিনে পাঁচবার গোসল করে তার সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কী?’ তাঁরা বুঝতে পারেননি উনি আসলে কী ইঙ্গিত করছেন। তাঁরা জবাব দিলেন, ওই লোক তো সম্পূর্ণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। তিনি বললেন, এটা হলো নামাজের উদাহরণ। অর্থাৎ পুণ্যের কাজ পাপ কাজকে দূর করে দেয়।
ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছ থেকে একটি হাদিস জানা যায়। এক লোক প্রচণ্ড অনুতপ্ত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে এসে বললেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি এক নারীর সঙ্গে মজা করছিলাম। তাকে চুমু দিয়ে ফেলেছি। তাই এখন আমার ওপর শরিয়তের শাস্তি প্রয়োগ করুন।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) চুপ করে থাকলেন। এরপর একটি আয়াত নাজিল হয়। সুরা হুদের ১১৪ আয়াতে আছে, ‘তুমি নামাজ কায়েম করবে দিনের দুই প্রান্ত ভাগে এবং রাতের প্রথম অংশে সৎকর্ম তো অসৎকর্মকে দূর করে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, তাদের জন্য এ এক উপদেশ।’
এরপর তাঁরা সবাই মিলে একত্রে নামাজ পড়লেন। নামাজ শেষে তিনি ওই লোকটিকে বললেন, তুমি কি আমাদের সঙ্গে জামাতে নামাজ পড়োনি? তুমি কি মসজিদে হেঁটে আসোনি? অজু করোনি? তুমি তো এর সবই করেছ, তাই না? লোকটি বলল, হ্যাঁ করেছি। তিনি বললেন, ‘নিশ্চয়ই ভালো কাজ মন্দ কাজকে দূর করে দেয়। এটাই তোমার তওবা। তুমি এখানে এসেছ, অনুতপ্ত হয়েছ, তুমি ক্ষমা প্রার্থনা করেছ। এখন তুমি নামাজ পড়েছ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভালো ভালো কাজগুলো করেছ। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫২৬)