বিশেষভাবে কোন সুবিধাগুলো মিলবে আইফোন ১৬ এই সিরিজে? দাম কেমন হতে পারে?
সেপ্টেম্বরেই বাজারে আসছে মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপলের আইফোন ১৬ সিরিজ। অন্য সিরিজের মতোই এই সিরিজেও মোট ৪টি মডেল থাকবে। সেগুলো হল- আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। বিশেষভাবে কোন সুবিধাগুলো মিলবে আপডেটেড এই সিরিজে? দাম কেমন হতে পারে?
আইফোন ১৬ সিরিজের কয়েক মডেলের ডিসপ্লের আকারে বাড়ছে। সূত্রমতে, প্রো মডেলের ডিসপ্লের আকার বেড়ে হচ্ছে যথাক্রমে ৬.৩ ইঞ্চি এবং ৬.৯ ইঞ্চি। ডিসপ্লের আকার বাড়লেও ফোনের আকার বাড়বে না। এমনটা কীভাবে সম্ভব? আসলে ডিসপ্লের বেজেল আরও পাতলা করা হয়েছে নতুন এই সিরিজ। তবে আইফোন ১৬ ও ১৬ প্লাসের আকার বা বেজেলে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না বলেই জানা গেছে।
এবার ক্যামেরার লেন্সেও পরিবর্তন আসছে। পাঁচ বছর আগের আইফোনের ক্যামেরার ধাঁচ ফেরানো হচ্ছে। লেন্সের একটা ৪৮ মেগাপিক্সেলের মেইন সেন্সর, অন্যটা ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড লেন্স। যদিও আইফোন ১৬ প্রো আর প্রো ম্যাক্সে গত বারের মতোই তিনটি ক্যামেরা থাকছে। মেইন ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেলের, ৪৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড আর একটা ৫ এক্স অপটিক্যাল জুম লেন্সও থাকছে। আইফন ১৬ সিরিজের চারটি মডেলেই থাকছে ‘ক্যাপচার’ বোতাম। ফোনের লক না খুলেও এই বোতাম টিপেই খুব সহজে ছবি তোলা যাবে।
আইফোন ১৬ সিরিজে ব্যাটারির সক্ষমতাও বাড়ছে। প্রো মডেলে ৪০ ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট, ২০ ওয়াটের ম্যাগসেস চার্জিং তো থাকছেই। অন্যদিকে নন প্রো মডেলে থাকছে যথাক্রমে ২৭ ওয়াট আর ১৫ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট। আপগ্রেড হচ্ছে প্রসেসরও। আইফোন ১৬ আর ১৬ প্লাসে থাকবে বায়োনিক এ১৮ চিপ আর ১৬ প্রো, ১৬ প্রো ম্যাক্সে বায়োনিক এ ১৮ প্রো। এইসঙ্গে চারটি মোবাইলেই থাকবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্র অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৬-র বেস মডেলের দাম হতে পারে ৭৯৯ ডলার। প্লাস মডেলগুলোর দাম হতে পারে ৮৯৯ ডলার। অন্যদিকে আইফোন ১৬ প্রোর দাম শুরু হতে পারে ১০৯৯ ডলার থেকে। আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম হতে পারে ১১৯৯ ডলার।