রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ছে


রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম চাঁদে একটি ক্ষুদ্র পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই চুল্লি আধা মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে, যা ভবিষ্যতের চন্দ্রবসতির জন্য নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে।
এক প্রতিবেদনে রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে।
রোসাটমের প্রধান আলেক্সেই লিখাচেভ বলেন, আমাদের কাছে একটি নতুন সমাধান চাওয়া হয়েছে, যা চাঁদে আধা মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা। আমাদের চীনা ও ভারতীয় অংশীদাররা এতে খুবই আগ্রহী।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো চাঁদে ভবিষ্যতের স্থায়ী ঘাঁটিগুলোর জন্য স্থায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। পারমাণবিক বিদ্যুৎ সৌরশক্তির তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। কারণ চাঁদের দীর্ঘ ১৪ দিনের রাতের সময়ে সৌর প্যানেলগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ দীর্ঘমেয়াদী মানব উপস্থিতি ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০২১ সালের মার্চ মাসে রাশিয়ার রোসকসমস এবং চীনের সিএনএসএ আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা স্টেশন (আইএলআরএস) নির্মাণে যৌথ সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর অংশ হিসেবে চীন তিনটি মিশন—চ্যাং’ই ৬, চ্যাং’ই ৭ ও চ্যাং’ই ৮ পরিচালনা করবে। যা ২০২৬ সালের মধ্যে শুরু হবে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে রোবটিক ঘাঁটির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি পরীক্ষার কাজ শেষ হবে।