f
রাজশাহী মহানগর

রাজশাহীতে ক্রয়কৃত জমি দখলে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডে ক্রয়কৃত জমির দখল পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক পরিবারের রোষানল ও জবরদখল থেকে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগী পরিবার গতকাল ৩ জুলাই সকালে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জমির ক্রেতা মৃত রাকিবুল ইসলামের ছেলে সফিকুল ইসলাম জনি।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে জনি বলেন, ১৯৯৭ সালে নগরীর বড়বনগ্রাম মৌজার অন্তর্গত ১৮ নং ওয়ার্ডে আমার বাবা ০.০৪ শতক জমি শাজাহান নামের এক ব্যক্তির কাছে কিনেছিলেন। যার জে.এল নং: ৮১, আর.এস খতিয়ান নং: ১২৯, দাগ নং: ৮৪৩। তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, বাবা ক্রয়কৃত জমিতে বাউন্ডারি দিতে গেলে ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি মোঃ আলেক তার স্বজনদেরকে নিয়ে বাউন্ডারি দিতে বাঁধা প্রদান করে। উক্ত জমিটি তাদের বলে অনৈতিক দাবি করেন। নিজের পেশিশক্তি প্রয়োগে আমাদের জমিটি নিজের দখলে নেবার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে আলেক ও তার ছেলে মামুন-আশরাফুল। বিবদমান জমিটির বিপরীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কার্যালয়ে কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় দলিলপত্র জমা দিয়ে অভিযোগ করলে, বিজ্ঞ আদালত, রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও শাহমখদুম থানা আমাদের পক্ষেই রায় দেয়। তদুপরি, আলেক ও তার দুই ছেলে মামুন-আশরাফুল স্থানীয় ‘কিশোর গ্যাং’ দিয়ে আমাদেরকে বাউন্ডারি সীমানা ও বাড়ি করতে প্রতিনিয়ত বাঁধা প্রদান ও প্রাণনাশের হুমকি ধাঁমকি দিচ্ছে। তাদের অত্যাচারে আমরা আমাদের জমির কাছেও এখন যেতে পারছিনা। গত ০৪-০৬-২০২৪ ইং তারিখে নিজ জমিতে বাউন্ডারি দিতে গেলে আলেকের ছেলে মামুন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাকে তাড়া করে। আমি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে শাহমখদুম থানা পটুলিশ আমাকে উদ্ধার করেন। বাউন্ডারি সীমানা দেবার জন্য জমিতে রাখা ইট-বালু তারা রাতের আধারে চুরি করেছে । সেটির প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্তরা আমাকে ও আমার মা কে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পচার কাছে অভিযোগ দিলে চার মাস পর তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান তিনি করতে পারবে না। অবশেষে বিজ্ঞ আদালতে বিবদমান জমিটি নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি চলামন রয়েছে। মামলার তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা অভিযুক্তদের পক্ষে পরোক্ষভাবে কাজ করছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

অভিযুক্ত আলেকের দাবি, জনির বাবা রাকিবুল সাজাহান ও মোতালেব নামের দুজন ব্যক্তির ইন্ধনে যে জমিটি কিনেছিল সেটির কাগজ ছিল অপরিপূর্ণ। দলিলে দাগ নাম্বার ভুল সহ চৌহদ্দি উল্লেখ্য ছিল না। জমির বিক্রেতারা তাদেরকে অন্যদাগের জমি বুঝিয়ে দিয়েছে। বিবদমান জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

Back to top button