f
রাজশাহীরাজশাহী মহানগর

কোর্ট হড়গ্রাম কাঁচা বাজারে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগর এলাকার কোর্ট হড়গ্রাম কাঁচা বাজারে দীর্ঘদিন থেকে ভ্রাম্যমান দোকানদারদের নিকট হতে বর্ধিত হারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবাসয়ীরা আর বর্ধিত হারে টাকা দেবেন না বলে জানিয়েছেন। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রতিকার চাইলে তাদের পক্ষে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা চালান রাজশাহী জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। এসময়ে বর্ধিত হারে চাঁদা না দেয়ার আহ্বান জানান। সেইসাথে কেউ বর্ধিত হারে চাঁদা নিতে আসলে না দেয়ার কথা বলেন তারা।

সচেতনতামূলক প্রতিবাদী র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা যুবদলের অন্যতম সদস্য সাহেব জাদা, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য রবিন যুবনেতা আশরাফুল, রাজিব ও মোহন, পবা থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আহমেদ লালটুসহ যুবদল ও ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ এবং কাঁচা বাজারের ব্যবসায় বৃন্দ।

হড়গ্রাম কাঁচা বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলম বলেন ১৬টা করে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করার কথা থাকলেও ইজাদারের লোকজন ৩০-৫০টাকা করে নিলেও তাদেরকে দেয়া হচ্ছেনা রসিদ। বলতে গেলে তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমন অভিযোগ মামুন, লুফরা ও জুয়েলসহ প্রায় সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী করেন। তারা আরো বলেন, মাইদুল, টি আলম, শাহরুখ, রাজু ও ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলামের ভাই সারু তারা প্রতিদনি চাঁদা আদায় করেন।

যুবদলের নেতৃবৃন্দ বলেন, সারুর নেতৃত্বে তারা এই ধনের অফবৈধ কাজ করে চলেছে। দুর্নীতিবাজ সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নিকট হতে তার দোসরা এই বাজার ইজারা নেয়। এতদিন কোন ব্যবসায়ী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে গত ৫আগস্ট দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলে আওয়ামীলীগের প্রধান খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে তার এমপি মন্ত্রী ও মেয়রগণও পালিয়ে যায়। আবার অনেকে আটক হয়েছেন।

তারা বলেন, লিটনের দোসরা খোলস পাল্টিয়ে এখন বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে এই অবৈধ কাজ করছে। শুধু তাইনয় এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের প্রানে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দখলবাজদের কোন ঠাঁই নাই। নেতৃবৃন্দ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা সকলেই এই চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেন। সেইসাথে কেউ চাঁদা নিতে আসলে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় কল করার পরামর্শ দেন তারা।

Back to top button