f
রাজশাহী

গভীর রাতে জলাশয় ভরাটের চেষ্টা, স্থানীয়দের তৎপরতায় মাটি ফেলা বন্ধ

বিশেষ প্রতিবেদক :  ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময় থেকে স্থানীয় প্রশাসনে বড় রতবদল ও মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের ক্ষীনভূমিকার সুযোগে গভীর রাতে চলছে জলাশয় ভরাটের মতো মহাযজ্ঞ। রাজশাহীর তানোর উপজেলার নয়নজলী জলাশয়। জলাশয়টি থেকে স্থানীয় মানুষ, মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের সুযোগ নিতে গভীর রাতে ভারি সরঞ্জাম নিয়ে জলাশয়টি ভরাটে নামে কয়েকজন প্রভাবশালী। স্থানীয়রা টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ জলাশয় ভরাট বন্ধ করে।

রাজশাহীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র নাইস গার্ডেনের সামনে নয়নজলী জলাশয়ে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জলাশয়টি ভরাট করতে যায় স্থানীয় প্রভাবশালী মিজান ও তার অন্যতম সহযোগী রবিউল ইসলাম। এসময়, স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তা প্রতিহত করে এবং জলাশয়ে মাটি ফেলা বন্ধ করে।

দেশের সংশোধিত ভূমি ও জলবায়ু আইন অনুযায়ী, পুকুর, জলাশয়, নয়নজলী তথা ভূমির আকার পরিবর্তন অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে, কিছু অসাধু ও কুচক্রী মহল আইনের তোয়াক্কা না করেই গভীর রাতে এসব কাজে মেতে উঠছে। যা জলবায়ু ও দেশের কৃষিক্ষাতকে ব্যপক হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

তানোর উপজেলার চাঁদুরিয়া এলাকটির স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, জলাশয়টি মাছ চাষ ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য পানির জন্য অতিব জরুরী। বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির পানি সংরক্ষন, অতিক্ষরায় পানির সল্পতা পূরণ করে এই জলাশয়। এতো দিন জলাশয়টির দিকে কারো কুনজর পড়েছিলো না তবে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জলাশয়টি ভরাটের পায়তারায় মেতে উঠে মিজান ব্যপারী ও তার কয়েকজন সহযোগী। আমরা জলাশয়টি ভরাট হতে দিতে পারবো না। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আমরা বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়, আমরা গত শুক্রবার গভীর রাতে বড় বড় ট্রাক, নসিমুন করিমুন ও ট্রলারের আওয়াজ পেয়ে বাইরে এসে দেখি কয়েজন লোক তাদের দলবল নিয়ে জলাশয়টিতে মাটি ফেলছে। বিষয়টি সন্দেহজন্ক মনে হলে আমরা প্রতিবেশীদের ডাক দিয়ে এগিয়ে গিয়ে কথাকটাকাটির এক পর্যায়ে তারা স্থানটি ত্যাগ করে। তবে, আজ আমরা বন্ধ করতে পেরেছি কিন্তু অচিরেই তারা অর্থের জোরে আবারো ভরাটের চেষ্টা করবে। এরই মধ্যে আমাদের কাছে খবর এসেছে, জলাশয়টি ভরাতে তারা উচ্চমহলে তদবির শুরু করেছে।

পরিবেশ কর্মীরা বলছে, এভাবেই যদি প্রাকৃতিক জলাধার গুলো ভরাট হতে থাকে তবে অচিরেই মারাত্বক হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ, জলবায়ু ও অর্থনীতি। সামগ্রিক ক্ষতির মুখে পড়বে এসব এলাকার বাসিন্দারা। এসব বন্ধে দ্রুতই প্রশাসনকে কঠোর হতে পরামর্শ দেন তারা।

Back to top button